Heart Attack in Karnataka

কর্নাটকে এক জেলাতেই ৪০ দিনে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ২৩ জনের! হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে আতঙ্কিত মানুষের

স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪০ দিনে যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছ’জনের বয়স ১৯-২৫ বছরের মধ্যে। আট জনের বয়স ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কর্নাটকের এক জেলাতেই ৪০ দিনের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে ২৩ জনের মৃত্যুতে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছে ১৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সি মানুষেরা। একের পর এক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কও বেড়েছে। আর তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে ছুটছেন অনেকেই। ফলে হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। গত কয়েক দিন ধরে এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ওই রাজ্যের হাসন জেলায়।

Advertisement

স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪০ দিনে যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছ’জনের বয়স ১৯-২৫ বছরের মধ্যে। আট জনের বয়স ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে। বাকিদের বয়স তার থেকে বেশি। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি দিন সকালে মায়সুরুর হাসপাতালে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ছে। হাসপাতালে সূত্রে খবর, হাসন জেলায় হার্ট অ্যাটাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই অল্পবয়সি থেকে বয়স্ক সকলেই হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করাতে আসছেন।

মায়সুরুর হৃদ্‌রোগ চিকিৎসার হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক এক এস সদানন্দ অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সাংবাদমাধ্যমে মৃত্যুর খবর দেখে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। যার ফলে অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এক বার পরীক্ষা করালেই সমস্যা মিটবে না। জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসেও বদল আনতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’

Advertisement

শুধু হাসনই নয়, তার আশপাশের জেলাগুলি থেকেও নিত্যদিন মায়সুরুর এই হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করাতে আসছেন অনেকেই। কেন হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর কারণ বাড়ছে, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সেই রিপোর্ট সম্প্রতি জমা পড়েছে।

প্রসঙ্গত, কর্নাটকে একের পর এক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর পর সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছিলেন, অতিমারি কালে কোভিড টিকা নিয়ে বড্ড তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। যুবক-যুবতীদের অকালমৃত্যুর সঙ্গে এর যোগ থাকতেই পারে। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই বিতর্কের আবহে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আকস্মিক এবং অকালমৃত্যুর সঙ্গে কোভিড টিকার যোগ নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঙ্গেও সাযুজ্যপূর্ণ নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement