—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হল দুই আদিবাসী কিশোরী। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে বাকিদের খোঁজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি বুধবার রাতের। শুক্রবার থানায় অভিযোগ জানানোর পর তা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে মোট চার কিশোর-কিশোরী স্থানীয় একটি যাত্রার আসর থেকে বাড়ি ফিরছিল। দুই কিশোরীর বয়স যথাক্রমে ১৩ এবং ১৪ বছর। তাদের সঙ্গে থাকা দুই কিশোরের বয়সও ১৪ থেকে ১৫ বছর। তারা সকলে একটি বাইকে ছিল। হঠাৎ জনা কয়েক যুবক তাদের রাস্তা আটকান। বাইক থামাতেই দুই কিশোরকে ধমক দেন তাঁরা। তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইলে মারধর করা হয়। এর পর দুই কিশোরীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের ঝোপে। সেখানে তাদের ধর্ষণ করেন অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই নির্যাতিতা অষ্টম এবং নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তারা রাতে কোনও ভাবে বাড়ি ফেরে এবং তাদের বাবা-মাকে সব খুলে বলে। প্রথমে কাউকে কিছু বলতে চায়নি দুই পরিবার। তবে পরে তারা আলোচনা করে ঠিক করে থানায় অভিযোগ জানাবে।
শুক্রবার রাসগোবিন্দপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করে দুই নাবালিকার পরিবার। জানানো হয়, মোট পাঁচ জন মিলে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে পালান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে।
ওড়িশা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। যোগ হয়েছে পকসোর ধারাও।
ওই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে ওড়িশায়। বিজেডি মুখপাত্র লেনিন মোহান্তি বলেন, ‘‘রাজ্যে বিজেপি সরকারের আমলে একের পর এক এমন ভয়াবহ ঘটনায় নারীসুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এতে পরিষ্কার যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।’’ অন্য দিকে, বিজেপি এই ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছে, পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের ধরেছে। দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করবে বিজেপি সরকার।