—প্রতীকী চিত্র।
শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় এক দম্পতিকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। অভিযোগ, হুমকি দেওয়া হয়, ধর্ষণের। শনিবার এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দম্পতি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। এক যুবকের বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল। তিনি বাইরে বেরোনোর পর তাঁকে লক্ষ্য করে চকোলেট বোমা ছোড়া হয়। জখম হন তিনি। প্রতিবাদ করলে শুরু হয় মারধর। সঙ্গে হুমকি। যুবকের স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করেন কয়েক জন পুরুষ এবং মহিলা। ‘আক্রান্ত’ মহিলার অভিযোগ, তাঁকে বাড়ি বয়ে এসেও মারধর করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়, পুলিশে জানালে ‘দেখে নেওয়া হবে।’
তাঁর আরও অভিযোগ, এক ব্যক্তি, নিজেকে পুলিশের লোক দাবি করে হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘বাড়িতে লোক ঢুকিয়ে দেব।’’ আক্রান্ত যুবকের কথায়, ‘‘বাড়ির বাইরে আমার ইলেকট্রিক স্কুটার চার্জে বসানো ছিল। বাইরে চকোলেট বোমা ফাটার আওয়াজ শুনে বেরোই। আমি দাঁড়াতেই কয়েক জন এসে বললেন, ‘এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? যদি বোমা-টোমা লাগে, আমরা কিন্তু দায় নেব না। আমি বললাম, ‘বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়াতে পারব না?’ উল্টে আমার গায়ে চকোলেট বোমা ছোড়া হয়। আমার পায়ে লাগে।’’ তিনি জানান, এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। গন্ডগোল হচ্ছে দেখে, তাঁর স্ত্রী বাইরে বেরিয়ে এলে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁকেও। ‘আক্রান্ত’ আরও বলেন, ‘‘পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ বাড়িতে এসে কথা বলেছে। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’’
‘আক্রান্ত’ মহিলার কথায়, ‘‘আমাকে রাস্তায় ফেলে মারে ওরা। আমার বাড়িতে পর্যন্ত চড়াও হয়। এক প্রতিবেশী বলে, পুলিশ এলে কিন্তু দেখে নেব। ছেড়ে কথা বলব না।’’ তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ধর্ষণের এবং স্বামীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শুক্রবার রাতেই বাজি ফাটানো নিয়ে একই রকম ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতায়। শুক্রবার রাতে কালীপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে অশান্তির সময় এক জনের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।