অগ্নিদগ্ধ সেই বাস। ছবি: সংগৃহীত।
গত এক মাসের মধ্যে পর পর কয়েকটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাত্রীদের অনেকে ঝলসে মারা গিয়েছিলেন। তেমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছিল মধ্যপ্রদেশ। তবে রাজস্থান বা অন্ধ্রের মতো পরিস্থিতি হওয়ার আগেই চালকের তৎপরতায় যাত্রীরা সকলেই বেঁচে গিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বাসটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে মধ্যপ্রদেশের পান্না যাচ্ছিল সোমবার রাতে। মুম্বই হাইওয়েতে গোয়ালিয়রের ওল্ড ক্যান্টনমেন্টের কাছে বাসে আগুন ধরে যায়। বেশির ভাগ যাত্রীই তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। যাত্রীদের মধ্যে শিশু এবং মহিলারাও ছিলেন। বাসের সামনের চাকা থেকে আগুনের ফুলকি বার হতে দেখেছিলেন এক যাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চালক অনিল শর্মাকে বিষয়টি জানান। আর কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই হাইওয়ের ধারে ব্রেক কষে বাসটিকে দাঁড় করান। তার পর চিৎকার করে যাত্রীদের বলেন, ‘‘আপনারা দ্রুত বাস থেকে নামুন। না হলে বিপদে পড়তে হবে।’’ তখন সবাই ঘুম চোখে হাতের সামনে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস যা পেয়েছেন, তাই নিয়েই বাস থেকে নেমে পড়েন।
চালক অনিল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রতি সেকেন্ড মূল্যবান ছিল। তাই দ্রুত সকলকে বাস খালি করতে বলি। দু’মিনিটের মধ্যে বাস খালি করে দিই। তার পরই গোটা বাস দাউ দাউ করে জ্বলে যায়। চোখের সামনে বাসটিকে কঙ্কালসার হতে দেখলাম। তবে এত জন যাত্রীকে প্রাণে বাঁচাতে পেরেছি, এটাই অনেক।’’ জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকে বাসে আগুন লেগেছিল। গত অক্টোবরে রাজস্থানের জৈসলমের থেকে জোধপুরে যাচ্ছিল একটি বাতানুকূল বাস। সেই বাসে অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই মাসেই হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন ধরে গিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়। বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর আগুন ধরে যায় বাসে। বার হওয়ার সুযোগ পাননি যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শর্ট সার্কিটের কারণে স্বয়ংক্রিয় দরজা আটকে গিয়েছিল। ফলে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২০ যাত্রীর।