Bus Accident in Saudi

একই বাসে ৫৪ জনের মদিনা যাওয়ার কথা ছিল, শেষ মুহূর্তে মত বদলে বেঁচে গেলেন আট জন

রবিবার মাঝরাতে (ভারতীয় সময়) মক্কা থেকে একটি বাসে করে উমরাযাত্রীরা মদিনায় যাচ্ছিলেন। বাসে ছিলেন ৪৬ জন। দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:২৮
Share:

জ্বলছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি। ছবি: পিটিআই।

মক্কা থেকে মদিনা যাওয়ার পথে মুফরিহাটের কাছে বাসদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৫ জন ভারতীয় উমরযাত্রীর। বেঁচে গিয়েছেন মাত্র এক জন! তবে ওই দলে ছিলেন আরও আট জন, যাঁরা ভারত থেকে সৌদি আরব গিয়েছিলেন হজযাত্রায়। মক্কা পর্যন্ত এক সঙ্গে যাত্রা করলেও মদিনা যাওয়ার জন্য বিকল্প বেছে নিয়েছিলেন আট জন। সেই আট জনই অক্ষত থাকলেন!

Advertisement

৫৪ জনের একটি দল গত ৯ নভেম্বর এক সঙ্গে ভারত থেকে উড়ে গিয়েছিলেন জেড্ডায়। ফেরার কথা ছিল এক সঙ্গেই। আগামী ২৩ নভেম্বর সকলের ফেরার কথা ছিল। মক্কা হয়ে মদিনা যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। একই ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে বাস ঠিক করেন মদিনা যাওয়ার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বদলান আট জন।

হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার জানান, ওই আট জনের মধ্যে চার জন আলাদা গাড়ি ঠিক করে রবিবার মদিনা যান। বাকি চার জনও একই পরিকল্পনা করেন। তবে তাঁরা রবিবার যাত্রা করেননি। মক্কায় থেকে যান। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ৪৬ জনের একটা তালিকা পেয়েছি। তাঁদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।’’

Advertisement

রবিবার মাঝরাতে (ভারতীয় সময়) মক্কা থেকে একটি বাসে করে উমরাযাত্রীরা মদিনায় যাচ্ছিলেন। বাসে ছিলেন ৪৬ জন। রাত দেড়টা নাগাদ মুফরিহাটের কাছে একটি ডিজ়েল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তার পরই বাসে আগুন ধরে যায়। ঘুমন্ত অবস্থাতেই ঝলসে মৃত্যু হয় ৪২ জন উমরাযাত্রীর। বাকি চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়। এক জন বেঁচে রয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ২৪ বছর বয়সি মহম্মদ আব্দুল সোয়েব বসেছিলেন এক দম চালকের পাশের আসনেই।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ওই বাসটি পুরো পুড়ে গিয়েছে। মৃতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শুধু ৪৬ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় যাত্রীরা সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। ফলে সংঘর্ষের পর পরই বাসে আগুন ধরে যাওয়ায় যাত্রীরা বাসের বাইরে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement