Bizarre answer for being Late

ঘুমোলেই স্বপ্ন দেখেন স্ত্রী তাঁর রক্ত খাচ্ছেন! সময় মতো কাজে পৌঁছাতে না-পারার ‘ব্যাখ্যা’ কনস্টেবলের

সকাল ৯টায় কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়ে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে পারেননি উত্তরপ্রদেশের ওই কনস্টেবল। কেন দেরি হয়েছে, তা নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছিল ওই কনস্টেবলকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৭
Share:

কাজে পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণ জানালেন উত্তরপ্রদেশের কনস্টেবল। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাতে স্বপ্নে দেখেন, স্ত্রী নাকি তাঁর রক্ত খেয়ে নিচ্ছেন! তাই রাতে ঘুম হয় না। ওই অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেই নাকি সঠিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে পারেননি। দেরিতে পৌঁছনোর কারণ জানাতে গিয়ে সম্প্রতি এমনটাই ব্যাখ্যা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সশস্ত্র বাহিনীর এক কনস্টেবল। ওই কনস্টেবলের ব্যাখ্যা-সহ চিঠিটি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সশস্ত্র বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিঠিটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

কর্তব্যে গাফিলতির কারণ ব্যাখ্যা করে জবাব দিতে বলা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের প্রাদেশিক সশস্ত্র বাহিনী পিএসি-র ৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের এক কনস্টেবলকে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই কারণ দর্শানোর নোটিসটি জারি হয়েছিল। নোটিসের নীচে সই রয়েছে বাহিনীর ৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জি-স্কোয়াড কমান্ডার মধুসুদন শর্মার। ওই কনস্টেবলের সকাল ৯টায় কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। আগে থেকে জানিয়ে রাখা সত্ত্বেও দেরিতে পৌঁছেছিলেন তিনি। তা ছাড়া কেন ওই কনস্টেবল সঠিক পোষাক পরে ছিলেন না এবং দাড়ি কামানো ছিল না, তা-ও জানাতে বলা হয়েছিল। কনস্টেবল যে প্রায়শই কাজে আসতে দেরি করেন, সে কথাও উল্লেখ ছিল কারণ দর্শানোর নোটিসে।

কারণ দর্শানোর ওই নোটিসের একটি জবাব সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জবাবি চিঠি অনুসারে, ব্যক্তিগত কিছু কারণে আগের রাতে ঘুম না-হওয়ার কারণে ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দিতে তাঁর দেরি হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি চলছিল। ঘুমোলেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন, স্ত্রী তাঁর বুকের উপর উঠে বসে রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই দুঃস্বপ্নের জন্য তিনি রাতে ঘুমাতে পারেন না।

Advertisement

এ বিষয়ে বাহিনীর ৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সত্যেন্দ্র প্যাটেল জানান, ওই চিঠিটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই কনস্টেবল কে, তাঁর কী সমস্যা, সবই বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান বাহিনীর ওই আধিকারিক। কনস্টেবলের ব্যক্তিগত কারণে মনোস্তাস্তিক পরামর্শের প্রয়োজন হলে, তা-ও করা হবে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement