Chhattisgarh Incident

লাল ট্রলিব্যাগ, সিমেন্টের বস্তায় ভরা দেহ! ছত্তীসগঢ়ে প্রতিবন্ধী যুবক খুনে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার দম্পতি

রায়পুরের পুলিশ সুপার লাল উমেদ সিংহ জানিয়েছেন, এই খুনের মূল চক্রী সন্দেহে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ১০:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) এই লাল ট্রলিতেই উদ্ধার হয় দেহ এবং সিসিটিভিতে ধরা পড়েন দুই সন্দেহভাজন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

রাস্তার পাশে পড়ে লাল রঙের ট্রলিব্যাগ। তার মধ্যে সিমেন্টের বস্তা। সেই বস্তার মধ্যেই ভরা ছিল এক প্রতিবন্ধী যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ! ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে জনবহুল এলাকায় ট্রলিব্যাগ থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র ধরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই প্রতিবন্ধীকে খুনের সন্দেহে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল ছত্তীসগঢ় পুলিশ!

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কিশোর পাইকরা। চাঙ্গোরাভাথা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রায়পুরের পুলিশ সুপার লাল উমেদ সিংহ জানিয়েছেন, এই খুনের মূল চক্রী সন্দেহে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।

পুলিশ যাঁদের আটক করেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অঙ্কিত উপাধ্যায় নামে এক যুবক। তিনি পেশায় আইনজীবী। তাঁর বাবা ছত্তীসগঢ় পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত এএসআই। পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় কিশোরের দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দু’জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। পুলিশ এটাও জানিয়েছে, একটি গাড়িতে করে কিশোরের দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই গাড়িকে অনুসরণ করে এসেছিল একটি বাইক। ওই বাইকের পিছনের আসনে বসেছিলেন এক মহিলা। তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। যদিও পুলিশ পরে তাঁকে শনাক্ত করে। তিনি অঙ্কিতের স্ত্রী।

Advertisement

পুলিশ সোমবার রায়পুরের ডিডি নগর এলাকা থেকে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে। সেই ঘটনার তদন্তে পুলিশের অনুমান, অঙ্কিতের যোগ রয়েছে। তদন্তকারী জানতে পেরেছেন, কিশোর হান্ডিপাড়ার এইচএমটি এলাকায় থাকতেন। মোহাদি গ্রামে তাঁর একটি জমি ছিল। অঙ্কিতের সহায়তাতেই ৫০ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করেন কিশোর। কিন্তু তিনি যখন হাতে টাকা পান, দেখেন ২০ লক্ষ টাকা কম রয়েছে। তা নিয়ে অঙ্কিতের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। এমনকি, অঙ্কিতের নামে পুলিশে অভিযোগ করবেন বলেও হুমকি দেন। তার পরেই কিশোরের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য বেড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement