সাধুবেশে অভিযুক্ত প্রমোদ ঝা। ছবি: সংগৃহীত।
১০ বছর ঘরছাড়া ছিলেন। স্ত্রী জানতেন, তাঁর স্বামী ফিরে সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন নিজের গ্রামের বাড়ি। স্ত্রী-পুত্রের কোনও খোঁজখবরও রাখতেন না স্বামী। যোগাযোগ পুরো ছিন্ন। তবে ১ অগস্ট রাতে ওই ব্যক্তি হঠাৎই ফিরে আসেন স্ত্রীর কাছে। সন্ন্যাসীর বেশে আসা স্বামীকে এত দিন পর দেখে কোনও সন্দেহ হয়নি স্ত্রীর। তিনি বুঝতে পারেননি তাঁর স্বামীর ফিরে আসার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ! বুধবার রাত ১২টা নাগাদ ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মেলে ওই মহিলার দেহ। পুলিশ সন্দেহ, তাঁর স্বামীই মাথায় হাতুড়ি মেরে তাঁকে খুন করে পালিয়েছেন!
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাই এলাকায়। ওই এলাকার একটি বাড়িতে পুত্র, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে নিয়ে থাকতেন কিরণ ঝা নামে ওই মহিলা। তবে সম্প্রতি তাঁর পুত্র দুর্গেশ ঝা কর্মসূত্রে বিহারে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ তারা খবর পায়। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘এলাকার সিসিটিভি দেখে জানা গিয়েছে রাতে মৃতার বাড়িতে ঢোকেন তাঁর স্বামী প্রমোদ ঝা। তার পরে কিছু ক্ষণ পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।’’
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রমোদ বিহারের বাসিন্দা। ১০ বছর আগে তাঁর স্ত্রী পরিবারকে ছেড়ে চলে যান। সম্প্রতি তিনি বিহারের মুঙ্গের থেকে তিনি দিল্লি আসেন। তার পরেই এই কাণ্ড ঘটান। প্রতিবেশীরাই প্রথম কিরণকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তদন্তকারী সূত্রে খবর, খুনের জন্য হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়েছে। তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, রেলওয়ে, বাস টার্মিনালগুলিতে খোঁজ চালানো হচ্ছে। তবে কেন কিরণকে খুন করা হল, তার এখন স্পষ্ট নয়। ওই পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বিস্তারিত তদন্তের পর বিষয়টি জানা সম্ভব হবে।’’