Scam in Delhi’s Akshardham

অক্ষরধামের বাইরে ভুয়ো পুরোহিতের খপ্পরে পড়লেন ভক্ত! খোয়ালেন মোবাইল, স্মার্টওয়াচ, টাকা

ভুয়ো পুরোহিতের পাল্লায় পড়ে লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়ালেন ওই ব্যক্তি। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করেন তিনি। কী ভাবে ওই ব্যক্তি প্রতারিত হলেন, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০৫
Share:

দিল্লির অক্ষরধাম। — ফাইল চিত্র।

দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে এক ভুয়ো পুরোহিতের পাল্লায় পড়ে লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়ালেন এক ব্যক্তি। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করেন তিনি। কী ভাবে ওই ব্যক্তি প্রতারিত হলেন, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরেছেন।

Advertisement

ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রথম বার অক্ষরধাম দর্শনে গিয়ে প্রতারিত হন। তাঁর কথায়, ‘‘একাই বাসে চেপে অক্ষরধাম মন্দিরে গিয়েছিলাম। বাসে এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে আলাপ হয়। নিজে থেকেই কথা বলেন। পুরো যাত্রায় নানা কিছু বলে আমায় প্রভাবিত করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, অক্ষরধামে অনেক বার গিয়েছেন। মন্দিরের সর্বত্র তাঁর চেনা। আলাদা করে কোনও গাইড নেওয়া প্রয়োজন নেই। তিনিই ঘুরিয়ে দেখাবেন মন্দির।’’

ওই প্রৌঢ়কে বিশ্বাস করে তাঁর সঙ্গে অক্ষরধাম যান প্রতারিত যুবক। তাঁর দাবি, মন্দিরে প্রবেশের আগে ওই প্রৌঢ় তাঁকে জানান, লকার রুমে ফোন, টাকা, বেল্ট ইত্যাদি মূল্যবান জিনিস রাখতে হবে না! সেখান থেকে চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরিবর্তে মন্দিরে এক চেনা পুরোহিত রয়েছেন, তাঁর কাছে জমা রেখে যাওয়া যায়। প্রথমে এ ব্যাপারে কিন্তু কিন্তু ভাব থাকলে মন্দিরের সামনে গিয়ে ওই ‘পুরোহিতের’ সঙ্গে দেখা করে সংশয় কেটে যায় যুবকের। প্রৌঢ় নিজেও তাঁর মোবাইল, টাকার ব্যাগ জমা রাখেন ওই ‘পুরোহিতের’ কাছে। তা দেখে আরও বিশ্বাস জন্মায় যুবকের। তিনিও তাঁর টাকা, মোবাইল, স্মার্টওয়াচ, বেল্ট-সহ সব দামি জিনিস ওই ‘পুরোহিতের’ কাছে জমা রেখে প্রৌঢ়ের সঙ্গে মন্দিরে প্রবেশ করেন।

Advertisement

মন্দিরে প্রায় পুরো সময়ই যুবকের সঙ্গে ছিলেন প্রৌঢ়। মন্দির ঘুরে ঘুরে সব কিছু বুঝিয়ে দেন। শেষে প্রসাদ আনতে যাচ্ছেন বলে কোথায় যেন চলে যান ওই প্রৌঢ়। অনেক ক্ষণ কেটে যাওয়ার পর ওই যুবক বুঝতে পারেন কিছু একটা গন্ডগোল। প্রৌঢ়ের জন্য অপেক্ষা না-করে মন্দিরের বাইরে এসে ওই ‘পুরোহিতের’ খোঁজ করেন যুবক। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় কোনও দোকানদার বা পুরোহিত কেউই তাঁর বা ওই প্রৌঢ়ের সন্ধান দিতে পারেননি। যুবকটি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement