Chhatisgarh

Chhattisgarh: মেলেনি শববাহী গাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেয়ের দেহ কাঁধে ১০ কিমি হাঁটলেন অসহায় বাবা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিংহদেও দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভিডিয়োটি দেখেছি। খুবই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমএইচও)-কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের উচিত ছিল গাড়ি না আসা পর্যন্ত মৃতের পরিবারকে অপেক্ষা করতে বলা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২ ১১:৩২
Share:

এই দৃশ্য নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

পাঁচ বছর আগে এমনই একটা ছবি নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশবাসীকে। স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে হেঁটে চলেছেন ওডিশার কালাহান্ডির বাসিন্দা দানা মাজি। পাশে হাঁটছে তাঁর ১২ বছরের মেয়ে চাঁদনি। হতদরিদ্র আদিবাসী দানা শববাহী গাড়ির টাকা জোগাড় করতে না পারায় স্ত্রীর দেহ কাঁধে ফেলে ১২ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার ভিডিয়ো দেখে ২০১৭ সালে চমকে উঠেছিল দেশ।

এ বার তেমনই এক দৃশ্য দেখা গেল ছত্তীসগঢ়ের সরগুজায়। শববাহী গাড়ি না পেয়ে মৃত কন্যার দেহ নিয়ে ১০ কিলোমিটার হাঁটলেন স্থানীয় গ্রামবাসী ইশ্বর দাস। সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রকাশিত ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই সক্রিয় হয়েছে ছত্তীসগঢ় সরকার। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিংহদেও ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, আমডালা গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বর তাঁর সাত বছরের মেয়ে সুরেখাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার ভোরে লক্ষ্মণপুরের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন। কিছু সময় পরে সেখানেই সুরেখা মারা যায়। মেয়ের দেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পাননি ঈশ্বর। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পরে তিনি কাঁধে মেয়ের দেহ তুলে ১০ কিলোমিটার দূরে আমডালার উদ্দেশে রওনা হন।

লক্ষ্মণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক বিনোদ ভার্গব শনিবার বলেন, ‘‘মেয়েটির অক্সিজেনের মাত্রা খুব কমে গিয়েছিল। ৬০-এর কাছাকাছি নেমে যায়। তার বাবা-মা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে সে প্রবল জ্বরে ভুগছিল। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেছিলাম। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হয়। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সে মারা যায়।’’ ভার্গবের দাবি, সুরেখার দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ লক্ষ্মণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকারি গাড়ি এসেছিল। কিন্তু তার আগেই ঈশ্বর মেয়ের দেহ কাঁধে তুলে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।

Advertisement

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিংহদেও সরগুজা জেলারই অম্বিকাপুরের বিধায়ক। ঘটনা সম্পর্কে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভিডিয়োটি দেখেছি। খুবই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমএইচও)-কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের উচিত ছিল গাড়ি না আসা পর্যন্ত মৃতের পরিবারকে অপেক্ষা করতে বলা। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন