Dowry Tourture

স্ত্রীকে ছেঁকা, মুখের ভিতরে গরম ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা! পণের দাবিতে অত্যাচারে অভিযুক্ত স্বামী

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহিলার। বিয়ের সময়ে শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো পণ দিতে পারেননি তাঁর পরিবার। অভিযোগ, তা নিয়ে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগে থাকত। প্রায়শই মারধর করা হত তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ১২:১৬
Share:

পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের খারগোনে জেলার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। ২৩ বছর বয়সি ওই মহিলাকে বাড়িতে বেঁধে রেখে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। হাতে-পায়ে ছেঁকা দেওয়া হত। এমনকি মহিলার মুখের ভিতরেই গরম ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ বধূর।

Advertisement

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহিলার। বিয়ের সময়ে শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো পণ দিতে পারেননি তাঁর পরিবার। অভিযোগ, তা নিয়ে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগে থাকত। প্রায়শই মারধর করা হত তাঁকে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত এবং সোমবার সকালের মাঝে। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে গৃহ পরিচারিকার সাহায্যে কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন বধূ। পরিচারিকার মোবাইল থেকেই ফোন করেন বাপের বাড়িতে। এর পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

মহিলার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আক্রান্ত মহিলার বয়ানও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে মত্ত অবস্থায় স্বামী তাঁকে মারধর শুরু করেন। লাথিও মারেন। এর পরে তাঁকে টানতে টানতে রান্নাঘরে নিয়ে যান। সেখানে মহিলার হাত-পা বেঁধে গরম ছুরি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় পণের দাবিতে এক বধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে নয়ডার স্থানীয় থানার পুলিশ। ওই ঘটনার পরে রাজস্থানেও পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে তিন বছরের কন্যা এবং নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন এক বধূ। ওই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। পর পর এই ঘটনাগুলির মাঝে এ বার পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল মধ্যপ্রদেশেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement