Dowry Death

পণের জন্য হত্যা: দু’বছর ধরে ঘরবন্দি করে, অনাহারে রেখে বধূকে নির্যাতন তেলঙ্গানায়, হাসপাতালে মৃত্যু

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী প্রসন্ন। খাম্মাম জেলার বিশ্বনাথপুরমের বাসিন্দা লক্ষ্মীর ২০১৫ সালে বিয়ে হয়েছিল কোঠাগুদেম জেলার পুলা নরেশ বাবুর সঙ্গে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩২
Share:

লক্ষ্মী প্রসন্ন। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় পণের জন্য নিকি ভাটিকে খুনের ঘটনা নিয়ে শোরগোল চলছে, সেই সময় আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এ বার ঘটনাস্থল তেলঙ্গানা। স্ত্রীকে ঘরে দু’বছর ধরে ঘরবন্দি করে, অনাহারে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় বধূর। কোঠাগুদেম জেলার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী প্রসন্ন। খাম্মাম জেলার বিশ্বনাথপুরমের বাসিন্দা লক্ষ্মীর ২০১৫ সালে বিয়ে হয়েছিল কোঠাগুদেম জেলার পুলা নরেশ বাবুর সঙ্গে। লক্ষ্মীর পরিবারের দাবি, বিয়ের সময় নরেশবাবুকে পণ হিসাবে দু’একর আমবাগান, এক একর কৃষিজমি, নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকার গয়না দেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্মীর পরিবারের অভিযোগ, বছর দুয়েক আগে তাদের জামাই অশ্বরাওপেটায় চলে যান। সেখানেই লক্ষ্মী এবং সন্তানকে নিয়ে থাকছিলেন। সেই সময় থেকেই লক্ষ্মীর উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ।

লক্ষ্মীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, অশ্বরাওপেটা যাওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিল না তারা। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন, লক্ষ্মীকে ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই অশ্বরাওপেটায় লক্ষ্মীর বাড়িতে যান তাঁর বাবা-মা। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, লক্ষ্মীকে দু’বছর ধরে ঘরে আটকে রেখে মারধর করতেন নরেশবাবু। শুধু তা-ই নয়, লক্ষ্মীকে দিনের পর দিন অনাহারে রাখতেন। শনিবার নরেশবাবু ফোন করে জানান, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছেন লক্ষ্মী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর বাবা-মা। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নরেশবাবু, তাঁর মা, দিদি এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে পণের জন্য খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন লক্ষ্মীর পরিবার। ঘটনার পর থেকে সপরিবার পলাতক নরেশবাবু।

Advertisement

গত সপ্তাহেই গ্রেটার নয়ডায় নিকি ভাটি নামে এক বধূকে পণের জন্য পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নিকির স্বামী, শাশুড়ি, ভাশুর এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement