Plane Crash in Ahmedabad

কেন ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান! তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে গেল কেন্দ্রের কাছে

অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্‌ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৩
Share:

এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা পড়ল। —ফাইল চিত্র।

অহমদাবাদ বিমান বন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মুহূর্ত পরেই কেন ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান? তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।

Advertisement

অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্‌ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। শীর্ষ সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে যে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা মূল্যায়ন এবং ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এএআইবি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টই জমা পড়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে রিপোর্টটি জনসমক্ষে আসতে পারে।

গত ১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ বিমানটি ওড়ার ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় বিমানের কেবিন ক্রু, পাইলট-সহ ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। বেঁচে যান কেবল এক জন যাত্রী। বিমানটি যেখানে ভেঙে পড়েছে এবং বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন অহমদাবাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই নমুনা মিলিয়ে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীরও।

Advertisement

কেন ভেঙে পড়ল বিমানটি? দুর্ঘটনার পর থেকেই এই প্রশ্নই উঠছে নানা মহলে। ১৩ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বিমানের প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি। উড়ানের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য থাকে এই ব্ল্যাক বক্সে। ককপিটে পাইলটের কথোপকথনও ধরা থাকে। ১৬ জুন দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটিও উদ্ধার হয়। সেগুলি পরীক্ষানিরীক্ষা করছে এএআইবি।

দিন কয়েক আগে এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ব্লুমবার্গ। তাতে বলা হয়, বিমান সংস্থার পাইলটেরা ওই বিমানের সম্ভাব্য সমস্যাগুলি ফ্লাইট সিমুলেটরে প্রয়োগ করে দেখেছেন। বলা হচ্ছে, অহমদাবাদ বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিক সময়ে বন্ধ হয়নি। বিমানের ডানাতেও কিছু সমস্যা হচ্ছিল। যে কারণে সেটি উপরের দিকে উঠতে পারেনি। এই পরিস্থিতি তৈরি করে দেখা গিয়েছে, শুধুমাত্র এগুলি বিমান ভেঙে পড়ার কারণ হতে পারে না। সমস্যা ছিল অন্য কোথাও। মনে করা হচ্ছে, ওই বিমানের দু’টি ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তদন্তকারী সংস্থা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। অনেকের মতে, প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে এই বিষয়গুলি স্পষ্ট হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement