ই-মেল ছাড়া আজকের সময় অচল। বার্তা পাঠানোর অন্যতম মাধ্যম হিসাবে ই-মেলের বিকল্প মেলা ভার। ই-মেল আদতে কেমন হওয়া উচিৎ, তার এক অদ্ভুত ব্যাখ্যা দিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একটি পাঠ্য বই। অধ্যাপক সিবি গুপ্তের লেখা সেই বইতে বলা হয়েছে, ‘ই-মেল একটা স্কার্টের মতোই ছোট হওয়া উচিত’।
মহিলাদের স্কার্টের সঙ্গে ই-মেলের এই তুলনা প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলের বলা একটা কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। চার্চিল বলেছিলেন, ‘ভাল একটা বক্তব্য মহিলাদের স্কার্টের মতোই হওয়া উচিত। যা হবে, বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট বড় এবং মজাদার হিসাবে বেশ ছোট।’ অনেকের মতে পাঠ্যবইটি লেখার সময়ে অধ্যাপক গুপ্তের মাথায় চার্চিলের এই বক্তব্যই ঘুরছিল। তিনি দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অব কমার্সের বাণিজ্য বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ছিলেন।
ওই বইতে ই-মেলের আদবকায়দা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, ‘আপনার ই-মেল সংক্ষিপ্ত করুন’ শিরোনামে লেখক লিখেছেন ‘মহিলাদের স্কার্টের মতোই হওয়া উচিত একটি ই-মেল। ছোট হলে বিষয়টা জব্বর হয় আর গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি উল্লেখ করা যায়। ই-মেল খুব বড় হলে তা খুব সহজেই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটায়।’
আরও পড়ুন: গো-রক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তা আইন!
পাঠ্য বইয়ের সেই অদ্ভুত ব্যাখ্যা।
২০০৫ সাল থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত এই বই। তবে ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই এই লাইনগুলি জনসমক্ষে এসেছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক গুপ্ত বলছেন, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য লাইনগুলি লেখা হয়নি।’ তবে পরবর্তী সংস্করণে এই লাইনগুলি বাদ দেবেন বলেও জানিয়েছেন লেখক। সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, উইন্সটন চার্চিলের উদ্ধৃতাংশ তাঁকে অনুপ্রানিত করেছে।