জঙ্গি হামলার পর ফাঁকা পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা। ছবি: রয়টার্স।
পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে নতুন তথ্য হাতে এল তদন্তকারীদের। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার জঙ্গিরা কী ভাবে হামলা চালিয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নথিভুক্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকেরা নিজেদের মতো সময় কাটাচ্ছিলেন। কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাস্ট ফুডের স্টলে বসে খাবার খাচ্ছিলেন। কেউ পাইন বনের ধারে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছিলেন। সেই সময়ই অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রথমে উপত্যকা থেকে বেরোনোর যে গেট, সেখানে গুলি চালায় জঙ্গিরা। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে দেন পর্যটকেরা। অনেকেই উপত্যকায় প্রবেশের গেট ধরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেই গেট আটকে ছিলেন দুই সশস্ত্র জঙ্গি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেঁচে ফেরা পর্যটকেরা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, প্রথমে মহিলাদের দূরে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু পর্যটকেরা রাজি হননি। তার পর নির্দিষ্ট একটি ধর্মের মানুষকে দূরে সরে যেতে বলা হয়। তাতেও রাজি হননি পর্যটকেরা। তার পর পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে কলমা পড়তে বলা হয়। তার পরেই পর্যটকদের লক্ষ্য করে চলে গুলি। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, প্রথমে হত্যা করা হয় নৌসেনার আধিকারিক বিনয় নারওয়ালকে।
তদন্তকারীরা এ-ও জানতে পেরেছেন, সবচেয়ে বেশি পর্যটককে হত্যা করা হয় ভেলপুরি এবং চায়ের স্টলের সামনে। হামলার পরে উপত্যকার বাঁ দিকে থাকা পাঁচিল টপকে পালায় জঙ্গিরা। মোট চার জন জঙ্গি ঘটনাস্থলে ছিল। তিন জন ছিল অস্ত্র হাতে, আর এক জন ছিল পাহারায়। তদন্তে উঠে এসেছে যে, জঙ্গিদের দু’জন জংলা সামরিক পোশাক পরে ছিল। আর এক জন ছিল কাশ্মীরি পোশাক পরে।