টুইটারে ফের জেটলিকে নিশানা স্বামীর

মানা করার পরেও মুখে লাগাম কষছেন না সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এ বারে বিঁধলেন সরাসরি অরুণ জেটলিকেই। স্বামীর এই নাছোড়বান্দা আচরণে ক্ষুব্ধ বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৬ ০১:৫২
Share:

মানা করার পরেও মুখে লাগাম কষছেন না সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এ বারে বিঁধলেন সরাসরি অরুণ জেটলিকেই। স্বামীর এই নাছোড়বান্দা আচরণে ক্ষুব্ধ বিজেপি।

Advertisement

যে ভাবে একের পর এক সরকারি আমলাকে নিশানা করছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, তারপর সঙ্ঘ ও বিজেপি তাতে হস্তক্ষেপ করে বিরত থাকতে বলে। এর পরে আজ নতুন কোনও আমলার বিরুদ্ধে তোপ দাগেননি বটে, কিন্তু জেটলির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন টুইটারে। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের অপসারণের দাবি তোলার পরে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি স্বামীকে সংযত ও শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ তার জবাব দিয়ে স্বামী লেখেন, ‘‘অযাচিত ভাবে যাঁরা শৃঙ্খলা ও সংযমের পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁরা বোঝেন না আমি শৃঙ্খলা ভাঙলে রক্তপাত হবে।’’

স্বামীকে রাজ্যসভায় আনার পর কপ্টার-ঘুষ কাণ্ডে সরাসরি সনিয়া গাঁধীর নাম করে আক্রমণের পর বিজেপি শিবিরের অনেকেই খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়েই কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা সতর্ক করে বলেছিল, অচিরেই বন্দুকের নল কংগ্রেস থেকে বিজেপির দিকে ঘুরতে শুরু করবে। স্বামী আসলে অরুণ জেটলিকে সরিয়ে নিজে অর্থমন্ত্রী হতে চান। তাই কখনও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, কখনও মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, কখনও বা অর্থবিষয়ক সচিবকে নিশানা করে জেটলিকেই বিপাকে ফেলার কাজ করছেন। বিজেপি নেতারা এখনই সেটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিরতি, তবে যুদ্ধের মাঠেই থাকছেন স্বামী

বিজেপির একাধিক নেতা আজ বলেন, ‘‘দলের কাছে শৃঙ্খলা সবার উপরে। বিজেপিরই এক সাংসদ যদি এ ভাবে সরকারের একের পর এক আমলার বিরুদ্ধে মুখ খুলে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করেন, তা হলে আগামী দিনে দলের আরও নেতাও অনায়াসে নিজেদের মতো মন্তব্য করতে শুরু করবেন। নিজের দলের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য কখনওই বরদাস্ত করা যায় না।’’ বিজেপি যখন বিরোধী দলে ছিল, সেই সময় দলের অনেক নেতাকে এ ভাবে বেসুরো বাজতে দেখা যেত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর অতি-উৎসাহে কেউ কেউ কোনও মন্তব্য বা হিন্দুত্বের জিগির তুলেছেন, কিন্তু নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেননি। এ বারেও স্বামীর উপরে পুরোপুরি রাশ টানার কথাই বলছেন দলের নেতারা।

গতকালই অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে স্বামী বলেছিলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে আমি নরেন্দ্র মোদী কিংবা অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে নেব। অরুণ জেটলি কী বললেন, তাতে কী এসে গেল?’’ কিন্তু বিজেপি নেতারা জানেন, স্বামীর পিছনে আসলে সঙ্ঘের মদত রয়েছে। যদিও সঙ্ঘের কিছু নেতা আজ দাবি করেছেন, এটি ঠিক, স্বামীকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসার পিছনে আরএসএসের ভূমিকা ছিল। কিন্তু সরকারের আমলা কিংবা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পিছনে সঙ্ঘের কোনও হাত নেই। সরকারি নিয়োগে সঙ্ঘ কোনও নাক গলায় না। কিন্তু মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম কিংবা নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানগড়িয়ার নিয়োগের সময় সঙ্ঘ কোনও আপত্তি তোলেনি। ফলে এখন সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই নিয়ে কোনও গোঁসা দেখানোর মানে নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন