BJP MP

রামলালার বিগ্রহ নির্মাণের জন্য কৃষ্ণশিলা পাঠিয়েছিল, মাইসুরুর সেই গ্রামে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা

ওই এলাকা থেকে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন প্রতাপ। নিজের সেই লোকসভা এলাকায় তাঁকে ঢুকতে বাধা। অভিযোগ, দলিতদের বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন প্রতাপ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩১
Share:

বিজেপি সাংসদকে বাধার অভিযোগ। ছবি: এক্স।

অযোধ্যার মন্দিরে রামের বিগ্রহ নির্মাণের জন্য পাথর গিয়েছিল মাইসুরুর গ্রাম থেকে। সেই গ্রামে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহকে প্রবেশে বাধা দিলেন দলিতেরা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে তাঁদের অবহেলা করা হয়েছে।

Advertisement

ওই এলাকা থেকে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন প্রতাপ। নিজের সেই লোকসভা এলাকায় তাঁকে ঢুকতে বাধা। অভিযোগ, দলিতদের বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন প্রতাপ। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন প্রতাপ। তাঁকে বাধা দেন স্থানীয়েরা। কন্নড় ভাষায় সাংসদের উদ্দেশে কটূক্তিও করেন। প্রতাপের রক্ষীরা জনতাকে সরিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সবুজ শার্ট পরা এক ব্যক্তি চিৎকার করতে থাকেন। তাঁকে রীতিমতো গলাধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে দেখা যায় রক্ষীদের। ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি কিছু করেননি। যা করেছি, আমরা করেছি। আমরা রামকে শ্রদ্ধা করি। বেরিয়ে যান।’’

প্রায় দু’মিনিট ধরে চলে সেই বাক্‌বিতণ্ডা। বিজেপি সাংসদ ওই ব্যক্তিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক রক্ষী তাঁকে তাঁর গাড়িতে তুলে দেন। অযোধ্যায় রামমন্দিরে বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র কিছু ক্ষণ আগে এই ঘটনা হয়েছে।

Advertisement

গত ডিসেম্বরে সংসদ ভবনে ঢুকে দুই ব্যক্তি রঙিন ধোঁয়া ছড়িয়েছিলেন। পরে দেখা গিয়েছিল, সাগর শর্মা এবং ডি মনোরঞ্জন নামে দুই ব্যক্তিকে সংসদে প্রবেশের পাস পাইয়ে দিতে লোকসভা সচিবালয়কে চিঠি লিখেছিলেন প্রতাপ। এর পর সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি। পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে প্রতাপ জানিয়েছিলেন, এক অভিযুক্তের বাবা তাঁর কাছে এসে প্রবেশের পাস করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন