Air India Airspace

পাক আকাশসীমা বন্ধ, খরচ বাঁচাতে এয়ার ইন্ডিয়া আর এক পড়শির আকাশে প্রবেশাধিকার চায়! দরবার কেন্দ্রের কাছে

এয়ার ইন্ডিয়ার একটি অপ্রকাশিত রিপোর্ট উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, পড়শি দেশের সংবেদনশীল সামরিক আকাশসীমা ব্যবহার করতে চায় ভারতীয় এই বিমান সংস্থা। তাতে দূরপথের যাত্রায় সময় এবং খরচ কিছুটা হলেও কমবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৮
Share:

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় সমস্যায় ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় প্রভূত আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। পশ্চিমের দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য অনেকটা পথ ঘুরতে হচ্ছে। তাতে জ্বালানির খরচ যেমন বাড়ছে, তেমন বিমানযাত্রায় সময়ও লাগছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। এই সমস্যা দূর করতে এ বার ভারত সরকারের দ্বারস্থ হলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতীয় বিমানসংস্থাটি অন্য এক পড়শি দেশের আকাশসীমায় প্রবেশাধিকার চাইছে। সেই কারণে কেন্দ্রের কাছে দরবারও করেছে। অনুরোধ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

এয়ার ইন্ডিয়ার একটি অপ্রকাশিত রিপোর্ট হাতে এসেছে রয়টার্সের। সেখানে বলা হয়েছে, চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে চায় ভারতীয় এই বিমান সংস্থা। এই পথে প্রবেশের অনুমতি মিললে আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত আগের চেয়ে সহজ হবে। বাঁচবে খরচও।

লাদাখে চিন-ভারত দ্বৈরথের কারণে ২০২০ সাল থেকে এই দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে তা আবার চালু হয়েছে। সূত্রের খবর, চিন ও ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল ফের চালু হওয়ার পরেই কেন্দ্রের কাছে শিনজিয়াং প্রদেশের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য তদ্বির করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু শিনজিয়াং প্রদেশ চিনের অন্যতম সংবেদনশীল সামরিক আকাশসীমা। তা এয়ার ইন্ডিয়াকে আদৌ বেজিং ব্যবহার করতে দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই কারণে ভারত সরকারের তরফেও বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চিনে কোনও অনুরোধপত্র পাঠায়নি নয়াদিল্লি। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

গত ১২ মার্চ অহমদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি সামনের একটি বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬০ জনের। বিমানযাত্রায় তার পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার জনপ্রিয়তা বেশ কমেছে। পুনরায় যাত্রীদের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি। কিন্তু তার মাঝেই এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত। বন্ধ হয়ে যায় পাক আকাশসীমা। পশ্চিমের দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের পাহাড়ের উপরের আকাশপথ এত দিন ব্যবহার করা হত। তাতে সবচেয়ে কম সময় লাগত। কিন্তু ওই দরজা বন্ধ হওয়ায় এখন ঘুরপথে যেতে বাধ্য হচ্ছে বিমানগুলি। রয়টার্স জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত তাদের জ্বালানির খরচ ২৯ শতাংশ বেড়েছে। দীর্ঘ সময়ের যাত্রায় আগের চেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে।

শিনজিয়াং প্রদেশের আকাশসীমা ব্যবহারের বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চায়নি এয়ার ইন্ডিয়া বা ভারত সরকার। চিনের বিদেশ মন্ত্রক রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement