ফাঁক হয়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দরজা বন্ধের চেষ্টা বিমানকর্মীদের। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
বিমান তখন মাঝআকাশে। আচমকাই এক দরজা ফাঁক হয়ে যায়। তা দিয়ে হু হু করে হাওয়া ঢুকতে শুরু করে। হাওয়ার দাপটে কাঁপতে থাকে দরজাটি। সেই সঙ্গে হাওয়ার শব্দ! সব মিলিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বিমানের যাত্রীরা। অহমদাবাদ দুর্ঘটনার নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার এক আন্তর্জাতিক বিমানের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। যদিও এই ঘটনাটি অহমদাবাদ দুর্ঘটনার ১২ দিন আগের! ঘটনাচক্রে, ওই কাণ্ডটিও ঘটে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-তে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ১ জুন দিল্লি থেকে হংকঙের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি। বিমানবন্দর ছাড়ার ঘণ্টা খানেক পরেই বিমানের মাঝের একটি দরজা সামান্য ফাঁক হয়ে যায়। তার মধ্যে দিয়ে হাওয়া ঢুকতে থাকতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানকর্মীরা ওই দরজার ফাঁকে ন্যাপকিন গুঁজে দিয়ে হাওয়া বন্ধ করে এবং যাত্রীদের আশ্বস্ত করেন। ওই অবস্থাতেই বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছোয়। নিরাপদে অবতরণ করে হংকং বিমানবন্দরে।
মাঝআকাশে বিমানের দরজা ফাঁক হয়ে আওয়াজ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ২০২৯ এবং ২০২২ সালে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমটি জাপান এয়ারলাইন্সের এবং পরের ঘটনাটি জার্মান ক্যারিয়ার টিইউআই এয়ারলাইন্সের সঙ্গে জড়িত। দুই ক্ষেত্রেই বিমানগুলিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয় মূল বিমানবন্দরে!
গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার এই বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেটি। পাইলট-সহ ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়। বরাতজোরে বেঁচে যায় মাত্র এক জন যাত্রীই। সেই ঘটনার আগেই এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। পাইলটদের মতে, বিমানের দরজা ফাঁক হয়ে গেলেও মাঝআকাশে খোলে না! ফলে ভয়ের কোনও কারণ থাকে না। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, দিল্লি বিমানবন্দর ছাড়ার আগে ওই বিমানের সব রকম নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষা করা হয়েছিল।