২৪ বছর বয়সী এক বিমানসেবিকার শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটল হায়দরাবাদে। শ্লীলতাহানির পর তাঁর হাতের ব্যাগটি থেকে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ওই বিমানসেবিকাকে একটি নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে চম্পট দেয় ট্যাক্সিচালক।
পুলিশ পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ওই ট্যাক্সিচালকের নাম ইমরান। শ্লীলতাহানি ও ডাকাতির অভিযোগে ইমরানকে খুঁজতে হায়দরাবাদ ও তার আশপাশের এলাকায় নেমেছে পুলিশের ৬টি দল। তবে এই খবর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত ওই ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত দু’টো নাগাদ। ওই মহিলা তখন তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়েই সামনের একটি ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে। কিন্তু গিয়ে দেখেন, দোকানটি বন্ধ। দোকানটির সামনেই দাঁড়িয়েছিল একটি ট্যাক্সি। ওই বিমানসেবিকা তখন সেই ট্যাক্সিচালককে বলেন, তাঁকে একটু দূরের একটা ওষুধের দোকানে নিয়ে যেতে। এও জানান, তাঁর খুব তাড়া রয়েছে।
রাজেন্দ্রনগর থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই বিমানসেবিকা বলেছেন, ‘কোনও চিন্তা নেই’ বলে ট্যাক্সিচালক তাঁকে গাড়িতে তুলে খুব জোরে গাড়ি চালাতে থাকেন। বিমানসেবিকা বসেছিলেন গাড়ির সামনের সিটেই। কিছুটা যাওয়ার পরেই আউটার রিং রোডে একটা নির্জন, প্রায় পরিত্যক্ত জায়গায় গাড়িটি নিয়ে যান ট্যাক্সিচালক। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই বিমানসেবিকার শ্লীলতাহানি করেন ওই ট্যাক্সিচালক।
শামশাবাদ পুলিশের ডিসি সানপ্রীত সিংহ বলেছেন, ‘‘ওই ট্যাক্সিচালক বিমানসেবিকার মোবাইল ফোন ও হ্যান্ডব্যাগটি হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন- মোদীর উপহার ফেরালেন ধর্মঘটীরা