Suicide Abetment Case

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া সাধারণ বিষয়, এটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে ধরা যায় না! বলল আদালত

আত্মহত্যার পাঁচ দিন আগেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। ওই সময় মহিলার বাপের বাড়ির লোকেরা জামাইকে বলেছিলেন, “তোমার মরে যাওয়াই উচিত।”

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:১৫
Share:

আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা খারিজ করল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বৈবাহিক জীবনের ঝগড়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে ধরা যায় না। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বৈবাহিক জীবনের ঝগড়া-অশান্তি খুবই সাধারণ বিষয়। এর জন্য স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ আত্মহত্যা করলে, অপর জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করা যায় না। এক বধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা খারিজ করে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। হাই কোর্ট এ-ও জানিয়েছে, ঝগড়ার সময়ে যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ অন্য জনকে বলেও থাকেন যে তাঁর ‘মরে যাওয়া উচিত’, তা-ও সেটি আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে গণ্য হবে না।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের অউরিয়া জেলার এই মামলাটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে চলে আসছিল। প্রথমে নিম্ন আদালতে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। সেখানে বধূর বিরুদ্ধেই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে মামলাটি যায় হাই কোর্টের বিচারপতি সমীর জৈনের একক বেঞ্চে। সম্প্রতি ওই মামলায় বধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

এই মামলার ক্ষেত্রে প্রায় সাত বছরের বৈবাহিক জীবন কাটিয়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে আত্মহত্যা করেন স্বামী। ঘটনার পরের দিনই শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা বধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, স্ত্রী এবং তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যেরা সবসময় আত্মঘাতী তরুণীকে হেনস্থা এবং অপমান করতেন। আত্মহত্যার পাঁচ দিন আগেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। ওই সময় বধূর বাপের বাড়ির লোকেরা জামাইকে বলেছিলেন, “তোমার মরে যাওয়াই উচিত।”

Advertisement

ওই মামলা দায়ের হওয়ার পরে প্রথমে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা খারিজের জন্য আবেদন জানান তিনি। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এবং সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement