অভিনব কায়দায় বোকা বানিয়ে তাজ্জব লাগিয়ে দিল হায়দরাবাদের দুই যুবক।
তবে বোকা বানিয়ে খুব বেশি দিন কি পার পাওয়া যায়?
দীর্ঘ চার মাস ধরে আমাজন, ফ্লিপকার্টর মতো বহুজাতিক শপিং সংস্থাকে ঘোল খাওয়ানোর পরে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল ইয়াহিয়া মহম্মদ ইশাক আর তার জামাইবাবু মহম্মদ শাহারোজ আনসারি নামের দুই যুবক। গ্রেফতার করার পর তাদের চুরির এই ‘অভূতপূর্ব’ কাহিনী শুনে চোখ কপালে উঠল পুলিশের!
একেই বলে, ‘চোখে ধূলো দেওয়া’! যদিও ধুলো নয়, এ ক্ষেত্রে ‘কার্যসিদ্ধি’র মূল অস্ত্র ছিল বালি।
আরও পড়ুন- ধর্ষণে বাধা, দাদার হাতে খুন বোন!
পুলিশ জানাচ্ছে, দুই অভিযুক্ত আমাজন, ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ডিভিডি প্লেয়ারের মতো নানা রকমের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ‘কিনতেন’। আমাজন, ফ্লিপকার্টের ‘ডেলিভারি বয়’ যখন তাঁদের ‘বুক’ করা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীগুলো নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ‘ডেলিভারি’ দিতে আসতেন, তখন তাঁদের এক জন ওই ‘ডেলিভারি বয়’কে কথায় মজিয়ে রাখতেন। সেই সময় অন্য জন ‘ডেবিট কার্ড’ দিয়ে টাকা তোলার নামে জিনিসটা নিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যেতেন। ওই সময়ের মধ্যেই তিনি ‘ডেলিভারি বয়ে’র চোখের আড়ালে গিয়ে বাক্স খুলে জিনিসটি বের করে নিতেন। আর তার পর তাতে সমান ওজনের বালি ভরে খুব নিপুণ ভাবে সেই বাক্সটিকে আবার আগের মতোই ‘সিল’ করে দিতেন। ফিরে এসে বলতেন, ‘‘ডেবিট কার্ডে টাকা নেই। জিনিসটা আপনি ফেরত নিয়ে যান।’’
দামি দামি সামগ্রী লুঠ করে ভালই চলছিল দুই মাণিকজোড়ের! কিন্তু কপালে তাদের সুখ সইল না বেশি দিন! এই করতে করতেই চার মাস পর পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল দু’জনে।