মৃত শিশুটির মা ইমরানা।
হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আর্তি জানিয়েছিলেন কালাহান্ডির দানা মাঝি। টাকা ছিল না অন্য গাড়ি ভাড়া করে স্ত্রী-র দেহ নিয়ে যাওয়ার। হাসপাতালও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্স দেয়নি। স্ত্রী-র দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার ঘটনাটা এখন কারও অজানা নয়। দানা মাঝির ঘটনা ওড়িশার কঙ্কালসার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবিটা সামনে এনে দিয়েছিল। তাঁরই মতো হাসপাতালের ঔদাসীন্যের শিকার এক মহিলা। এ বার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল উত্তরপ্রদেশও।
অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামের একটি ২ বছরের মেয়ে। চিকিত্সা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তার। মেয়ের দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সটি চেয়েছিলেন তার মা ইমরানা। অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্সের চালক নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি মেয়ের দেহ নিয়ে যেতে মার কাছে ১৫০০ টাকা দাবিও করেন তিনি। কিন্তু, সেই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না ইমরানার। উপায়ন্তর না দেখে সারা রাত মেয়ের দেহ আগলে হাসপাতালের বাইরে বসে থাকেন তিনি।
পর দিন সকালে এক জনের সহযোগিতায় ইমরানা একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে মেয়ের দেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
আরও খবর...