ম্যাগি বিতর্ক

বিজ্ঞাপনে কি ভুল বার্তা, চাপে বচ্চন-মাধুরী

খাদ্য নিরাপত্তার বিচারে ম্যাগির গুণগত মান নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই জটিল হওয়ায় এ বার সব রাজ্য থেকেই নমুনা সংগ্রহ শুরু করল কেন্দ্র। কোথাও নিয়মবিরুদ্ধ কিছু ঘটেছে, এমন জানা গেলে সরকারি ভাবে কড়়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, বিজ্ঞাপনে ভুল বার্তা গিয়েছে, এমনটা যদি প্রমাণ হয়, রেহাই পাবেন না নেসলে সংস্থার এই ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডররাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৫ ০৩:৫৭
Share:

খাদ্য নিরাপত্তার বিচারে ম্যাগির গুণগত মান নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই জটিল হওয়ায় এ বার সব রাজ্য থেকেই নমুনা সংগ্রহ শুরু করল কেন্দ্র। কোথাও নিয়মবিরুদ্ধ কিছু ঘটেছে, এমন জানা গেলে সরকারি ভাবে কড়়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, বিজ্ঞাপনে ভুল বার্তা গিয়েছে, এমনটা যদি প্রমাণ হয়, রেহাই পাবেন না নেসলে সংস্থার এই ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডররাও।
কেন্দ্রীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাওয়া ম্যাগির নমুনা পরীক্ষা করেছে। দু’তিন দিনের মধ্যেই তারা রিপোর্ট দেবে। উত্তরপ্রদেশের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবাঁকির একটি আদালতে ম্যাগির গুণগত মান নিয়ে নেসলে-র বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
যদিও নেসলে সংস্থা আজ জানায়, তাদের খাবারে অতিরিক্ত মাত্রায় সীসা রয়েছে, বলা যায় না। তারা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। সংস্থা নিজের উদ্যোগে বেশ কিছু নমুনা পরীক্ষা করেছে, তাতেও দেখা গিয়েছে সীসার পরিমাণ অনুমোদিত মাত্রার অতিরিক্ত নয়। সেই রিপোর্ট তারা প্রশাসনের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।

Advertisement

এই ব্র্যান্ডের হয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রচার করেছেন অমিতাভ বচ্চন থেকে মাধুরী দীক্ষিত এবং প্রীতি জিন্টা। আদালতে ডাক পড়েছে তাঁদেরও।

কেন্দ্রীয় খাদ্য এবং ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেন, ‘‘সব তথ্যই এসেছে। উত্তরপ্রদেশের খাদ্য দফতর তদন্ত করে ম্যাগির মধ্যে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) ও সীসা পেয়েছে। এ বার এফএসএসএআই বিষয়টি দেখছে।’’ তবে নেসলে সংস্থা আগেই জানিয়েছে, তারা উত্তরপ্রদেশের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মতামত মানতে রাজি নয়। তারা সব নিয়ম মেনেই কাজ করেছে।

Advertisement

ক্রেতা সুরক্ষা দফতর বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব জি গুরুচরণ বলেছেন, ‘‘এফএসএসএআই প্রতি রাজ্য থেকেই নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। শুধু সীসা নয়, সব কিছুর পরিমাণও খতিয়ে দেখা হবে।’’ তিনিই জানান, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে যদি দেখা যায়, নিয়ম ভাঙা হয়েছে এফএসএসএআই এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ব্যবস্থা নেবে। বিজ্ঞাপন ভুল পথে চালিত করেছে, এমনটা মনে হলে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডররাও দায় এড়াতে পারবেন না।

ম্যাগির এক সময়কার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অমিতাভ বচ্চন আজ জানান, ‘‘আমার সঙ্গে চুক্তি শেষ।’’ তবে তাঁর দাবি, চুক্তির সময়েই জেনে নিয়েছিলেন, খাবার গুণমানে ঠিকঠাক কি না। চুক্তিতে বলেও রেখেছিলেন, কিছু ঘটলে সংস্থা যেন আইনি প্রশ্নে পাশে দাঁড়ায়। তবে বচ্চন মনে করেন, বিতর্কে যখন সেলিব্রিটিদের নাম জড়ায়, তখন আগে থেকে সাবধান হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

বিতর্কে যোগ হয়েছে মাধুরী দীক্ষিতের মতো অভিনেত্রীর নামও। তিনি ব্র্যান্ড অফিসারদের সঙ্গে দেখা করে টুইটারে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগও জানান। আজ বিহারে এক জেলা আদালতে নেসলে সংস্থা এবং অমিতাভ বচ্চন ও মাধুরী দীক্ষিতের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। ম্যাগির গুণমান নিয়ে আপত্তিকর কিছু প্রমাণ হওয়ার পরেও রিটেলাররা যদি তা বিক্রি করেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন