মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের স্ত্রী অমৃতা।
প্রমোদতরীর শেষপ্রান্তে বসে বিপজ্জনক সেলফি তোলার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের স্ত্রী অমৃতা ফডণবীস। এরকম বেপরোয়া কাজের জন্য সোমবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন।
তিনি লিখেছেন, ‘যদি কারও মনে হয় যে আমি ভুল করেছি, তাহলে আমি এর জন্য ক্ষমা চাইছি... আমি দেশের যুব সমাজকে বলতে চাই সেলফির নেশায় তাঁরা যেন কোনও ঝুঁকি না নেন।’ তারপরই অবশ্য তাঁর সংযোজন, জায়গাটি একেবারেই বিপজ্জনক ছিল না। ‘যে জায়গায় আমি সেলফি নিচ্ছিলাম তা বিপজ্জনক ছিল না, কারণ এর পর আরও দুটো ধাপ ছিল’, জানান মুখ্যমন্ত্রী পত্নী অমৃতা।
শনিবার দেশের প্রথম প্রমোদ-তরী ‘অ্যাংরিয়া’ চালু হয়েছে মুম্বই ও গোয়ার মধ্যে। বিলাসবহুল এই জাহাজে রয়েছে ছ’টি পানশালা, দু’টি রেস্তোরাঁ, একটি সুইমিং পুল, ডিসকো থেক, রিডিং রুম, স্পা-এর মতো বিনোদনের উপকরণ। এক বারে ৪০০ জন যাত্রী এবং ৭০ জন কেবিন ক্রু’র সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে এতে। মুম্বই থেকে গোয়া যেতে সময় লাগবে ১৪ ঘণ্টা। ওই জাহাজেই ছিলেন অমৃতা। সেলফি এবং রোমাঞ্চের নেশায় বুঁদ হয়ে তিনি পৌঁছে যান জাহাজের একেবারে ধারে, বিপজ্জনক অংশে। সেখানে বসে সেলফি নিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বা প্রমোদ-তরীর নিরাপত্তারক্ষীদের কথায় কোনও আমলই দিচ্ছিলেন না।
'
আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ছে কোটিপতি! তিন বছরে বৃদ্ধি ৬০ শতাংশ! তথ্য দিল আয়কর দফতর
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনা শুরু হয়। বিপজ্জনক ভাবে সেলফি তুলতে গিয়ে যখন একাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এ দেশে এবং তার জন্য সরকারি তরফে সতর্কতা জারি করা হয়, সেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী হয়ে কী ভাবে তিনি এমন কাজ করতে পারেন, সমালোচনা শুরু হয় তা নিয়েই।