ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’। প্রস্তুতি সেরে রাখছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ রবিবার রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ক্রমশ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতেই অন্ধ্রের মছলিপত্তলম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অন্ধ্র লাগোয়া ওড়িশায়। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তামিলনাড়ুও।
ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের নয় জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলি হল কাকিনাড়া, কোনা সীমা, পশ্চিম গোদাবরী, এলুরু, কৃষ্ণা, গুন্টুর, বাপাতলা, প্রকাশম এবং এসপিএসআর নেলোর। এই নয় জেলার স্কুলগুলি সোমবার থেকে দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সর্বাধিক অভিঘাত অন্ধ্রের উপর পড়লেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশে। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের ৩০টি জেলাকেই সতর্ক করেছে ওড়িশা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আট জেলায় নামানো হয়েছে ১২৮টি বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল। এই প্রসঙ্গে ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী সুরেশ পূজারি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন। স্থায়ীয় প্রশাসন প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই সোম এবং মঙ্গলবার তামিলনাড়ু আর পুদুচেরিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে চেন্নাইয়ে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছে চাইছে না সে রাজ্যের প্রশাসনও।
মোন্থার প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলাতেও। বেশ কয়েকটি জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুর্যোগের পূর্বাভাস কলকাতাতেও। আগামী দু’দিন রাজ্যে তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণে তাপমাত্রা কমতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার।