Operation Sindoor

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ চলেছিল ১০ মে-র পরেও, তিন দিনেই থামেনি! বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান দ্বিবেদী

ভারতের সেনাপ্রধান জানান, সিঁদুর অভিযানের প্রভাব সীমান্তে কতটা পড়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়াও চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫২
Share:

সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের দমন করতে ৭ মে সিঁদুর অভিযান শুরু করেছিল ভারত। ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যদিও যুদ্ধ তখনই থামেনি। চলেছিল তারও পরে। এমনটাই জানালেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের এই কথা জানান জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা হয়তো ভাবেন ১০ মে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু না। দীর্ঘ সময় চলেছিল সেই যুদ্ধ। অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছিল। তা ছাড়া সব কিছু এখানে বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’

তার পরেই ভারতের সেনাপ্রধান জানান, সিঁদুর অভিযানের প্রভাব সীমান্তে কতটা পড়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়াও চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির উপরে সিঁদুর অভিযানের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাস কি বন্ধ হয়েছে? আমি মনে করি না। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। আমরা সকলে জানি, কত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, কত জন পালিয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

সিঁদুর অভিযানের সময় ভারতের বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয়েরও প্রশংসা করেছেন দ্বিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাহিনীর আধিকারিকেরা নিজেদের নির্দেশ নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত ছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। তিনি বায়ু, নৌ এবং স্থলসেনা বাহিনীকে এক কমান্ডারের অধীনে (থিয়েটারাইজেশন) নিয়ে আসার বিষয়েও সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, কাজ সম্পাদনের জন্য এক জন কমান্ডার থাকা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। ড্রোনের উপরে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন জেনারেল দ্বিবেদী।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছিল। এর পরেই ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে সিঁদুর অভিযান শুরু করে ভারত। পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা। অভিযানে পাকিস্তানের ছ’টি সামরিক ঘাঁটিতে হানা দেয় ভারত। ১০ মে সন্ধ্যায় ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। জেনারেল দ্বিবেদী জানালেন, সংঘর্ষ তখনই থামেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement