বিমানই হোক বা কপ্টার- অরুণাচল প্রদেশ যেন মৃত্যুফাঁদ। শুক্রবার বায়ুসেনার কপ্টার ভেঙে পড়ার কারণ এখনও তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু শুধু খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই উত্তর-পূর্বের সীমান্ত বার বার ভেঙে পড়েছে হেলিকপ্টার বা বিমান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চিন-অরুণাচল সীমান্তে পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ও মন্দ আবহাওয়ার জেরে, মার্কিন হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৫০০ বিমান ভেঙে পড়ে বা নিখোঁজ হয়। মারা গিয়েছিলেন ১৩১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ৩০০ জনের দেহ মেলেনি।
২০০১ সালে বমডিলার কাছে পবনহংস কপ্টার ভেঙে পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
২০০৯ সালে মেচুকা থেকে যোরহাট যাওয়ার সময়ে এএন-৩২ বিমান ভেঙে ১৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।
২০১০ এপ্রিল মাসে তাওয়াং হেলিপ্যাডের পাশেই পবনহংসের যাত্রিবাহী কপ্টার ভেঙে ১৭ জন মারা যান।
২০১০ সালের নভেম্বরে তাওয়াং থেকে বমডিলা যাওয়ার পথে বায়ুসেনার চপার ভেঙে ১১ জন বায়ুসেনা অফিসার ও এক আর্মি অফিসারের মৃত্যু হয়।
২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল পবনহংসের বি-৩ কপ্টার জঙের কাছে ভেঙে পড়লে মারা যান অরুণাচলের তদনীন্তন মুখ্যমন্ত্রী দোর্জি খান্ডু এবং আরও চার জন।
২০১৫ সালের অগস্টে টিরাপের জেলাশাসক কমলেশ জোশী-সহ চারজন কপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান।
২০১৭ সালের মে মাসে পশ্চিম কামেং জেলায় ভেঙে পড়ে অত্যাধুনিক সুখোই ৩০-এমকেআই। প্রায় তিন দিন পরে ধ্বংশাবশেষ মেলে। মারা যান চালক ও সহকারী চালক।
৪ জুলাই ২০১৭ অরুণাচলের সাগালিতে ধসে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজের পরে ধ্রুব চপার ভেঙে মারা যান বিমানবাহিনীর চার অফিসার।
৬ অক্টোবর ২০১৭ তাওয়াংয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ চপার ভেঙে মৃত্যু হল বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনীর সাত অফিসার এবং কর্মীর।