—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সরকারি তৎপরতা শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগেই। এ বার ‘বিপজ্জনক’ বন্যপ্রাণ হত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে পদক্ষেপ করল কেরলের বাম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্ত্রিসভা শনিবার এ সংক্রান্ত খসড়া বিল অনুমোদনের পরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। তারই মধ্যে সোমবার বিলটি পেশ হয়েছে বিধানসভায়।
পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় ঘেরা কেরল, তার ঘন চিরহরিৎ অরণ্য এবং বন্যপ্রাণের জন্য পরিচিত। দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যের মালাবার উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য বিপুল। সে সঙ্গেই রয়েছে মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাতের ধারাবাহিক ঘটনাও। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে কেরল সরকার ‘বিপজ্জনক’ বন্যপ্রাণী হত্যা আইনসিদ্ধ করতে কেরল সরকারের পদক্ষেপ চোরাশিকার-চক্রের সুবিধা করে দিতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠনগুলির একাংশের অভিযোগ, বিজয়ন সরকারের ওই উদ্যোগ, ‘ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন (১৯৭২)-এর পরিপন্থী। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করেছে কেরল সরকার।
নতুন বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে, জঙ্গল ছেড়ে কোনও বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকে কোনও গ্রামবাসীকে আহত করলেই সে রাজ্যের ‘মুখ্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষক’ (‘চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন’ বা সিডব্লিউএলডব্লিউ)- তাৎক্ষণিক ভাবে প্রাণীটিকে হত্যার নির্দেশ দিতে পারবেন। সরকারি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে যেতে হবে না। এমনকি, বাঘ, হাতির মতো বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ১ নম্বর তফসিলভুক্ত (অর্থাৎ, সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বে সংরক্ষিত) বন্যপ্রাণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতিও নিতে হবে না। যা নিয়ে আপত্তি রয়েছে, বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই। যদিও আপত্তি উড়িয়ে কেরলের বনমন্ত্রী একে সাসেন্দ্রন বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় আইন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বন্যপ্রাণ হত্যার নির্দেশ সংক্রান্ত ‘সাধারণ আচরণবিধি’ (‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ বা এসওপি)-র জটিল এবং সময়সাপেক্ষ পদ্ধতিগুলি দূর করা হয়েছে নতুন বিলের খসড়ায়।’’