Assam

Assam: হিন্দু, শিখ এলাকা ও মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস বিক্রি নয়, নয়া বিল অসমে

বিরোধীদের দাবি, যেখানে খুশি পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই ৫ কিলোমিটারের যুক্তি সন্দেহজনক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৩:৫৫
Share:

গো-সুরক্ষায় নয়া বিল অসমে। —প্রতীকী চিত্র।

গো-সুরক্ষায় এ বার নয়া বিল পেশ হল অসম বিধানসভায়, যাতে মন্দির চত্বরের ৫ কিলোমিটারর মধ্যে গোমাংস এবং গোমাংসজাত পণ্য কেনাবেচা নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হিন্দু, জৈন, শিখ এবং গোমাংস না খাওয়া সম্প্রদায়ের বাস যে এলাকায়, সেখানেও এই নিষেধাজ্ঞা চালুর প্রস্তাব রয়েছে ওই বিলে।

Advertisement

অসম গো-সুরক্ষা বিল ২০২১ নামের ওই বিলটি সোমবার বিধানসভায় পেশ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাতে গোহত্যা, গোমাংস ভক্ষণ এবং বেআইনি ভাবে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্যে গোহত্যা রোখার আইন থাকলেও, কোন কোন জায়গায় গোমাংসের দোকান থাকা চলবে না, এমন নির্দেশিকা এই প্রথম।

এ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে অসম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া জানান, বিলটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে।তাই আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা। দেবব্রত বলেন, ‘‘৫ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই ৫ কিলোমিটার কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে? যেখানে ইচ্ছে পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলতে পারে যে কেউ। গোটা বিষয়টাই সন্দেহজনক। এর ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়বে বই কমবে না।’’

Advertisement

বিলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গো-সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়নি। মুসলমানদের আবেগে আঘাত করাই বিলটির লক্ষ্য, যাতে আরও বিভাজন তৈরি হয়। আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি। সংশোধন করতে আর্জি জানাব।’’

রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেমন নির্দিষ্ট করে গাভী হত্যা নিষিদ্ধ রয়েছে, গো-সুরক্ষা আইনে মোষকে বাইরে রাখা হয়েছে, অসম সরকারের নয়া বিলে সে রকম নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। এর আগে, অসমে ১৪ বছরের বেশি বয়সি গরুদের হত্যায় কোনও বাধা ছিল না অসমে। কিন্তু ১৯৫০-এর সেই আইন গো-সুরক্ষায় যথেষ্ট নয় বলে মত হিমন্তর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন