Atiq Ahmed Murder

‘ছোটখাটো শুটারের কাজ আর কত দিন করব’, খুন ‘গ্যাংস্টার’ হতেই! বললেন আতিক খুনের অভিযুক্তেরা

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধেই একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। কোন কোন অপরাধ করেছেন, কোন কোন থানা এলাকায় সেই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে এসটিএফ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫২
Share:

আতিক-আশরফ খুনে তিনি অভিযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত।

সাংবাদিকদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন আতিক খুনের তিন অভিযুক্ত সানি, অরুণ এবং লবলেশ। গলায় প্রেসকার্ড ঝোলানো। হাতে বুম এবং সঙ্গে ক্যামেরাও। ঘুণাক্ষরেও কেউ আঁচ করতে পারেননি, আতিকের হামলাকারীরা ওই ভিড়েই মিশে রয়েছেন। ‘সাংবাদিক’ সেজে আসায় সহজেই আতিকের কাছাকাছি চলে যেতে পেরেছিলেন তাঁরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের নিরাপত্তা টপকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে মারেন আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে। লাইভ ক্যামেরার সামনে এমন একটা ‘হাই-প্রোফাইল’ খুন, তাই শোরগোল পড় গেছে গোটা দেশে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধেই একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। কোন কোন অপরাধ করেছেন, কোন কোন থানা এলাকায় সেই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। জেরার মুখে অভিযুক্তরা দাবি করেছেন, বড় মাপের ‘ডন’ হতেই তাঁরা এই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। অভিযুক্তদের এক জন পুলিশকে বলেছেন, “কত দিন আর ছোটখোটো শুটারের কাজ করব! বড় গ্যাংস্টার হওয়ার জন্যই এই খুন করেছি আমরা।” যদিও অভিযুক্তদের দাবি কতটা সত্যি, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশও।

পুলিশ জানিয়েছে, যে বাইকে চেপে তিন অভিযুক্ত এসেছিলেন, ইউপি ৭০এম ৭৩৩৭ নম্বরের সেই বাইকটির রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা করে দেখা যায় সর্দার আব্দুল মান্নান খান নামে এক ব্যক্তির। কিন্তু গাড়িটির রেজিস্ট্রেশনও ভুয়ো কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাইক, ক্যামেরা, সাংবাদিকের পরিচয়পত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন অভিযুক্তরা, তারও খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আতিক-আশরফকে খুনের পরই ‘সারেন্ডার… সারেন্ডার’ বলে চিৎকার করতে থাকেন অভিযুক্তরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে তিনটি বন্দুক, বেশি কিছু গুলি, ক্যামেরা, বুম এবং আইডি কার্ড উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে লবলেশের বাবা দাবি করেছেন, পুত্রের সঙ্গে পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই। লবলেশের বাবা যজ্ঞ তিওয়ারি বলেন, “ও আমার ছেলে। ঘটনাটি টিভিতে দেখেছি। লবলেশ কী করে তা আমরা জানি না। ওর সঙ্গে বিশেষ কোনও সম্পর্কও নেই। কখনওই বাড়িতে আসত না। আমাদের কিছু জানাতও না। ৫-৬ দিন আগে বান্দায় এসেছিল।”

অন্য দিকে, আর এক অভিযুক্ত সানি সিংহের বাবা সংস্থা এএনআইকে বলেন, “আমার ছেলে কোনও কাজ করত না। মাদকাসক্ত ছিল।” দাদা পিন্টু আবার জানান, তাঁর ভাই এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়াতেন। কোনও কাজ করতেন না। সানির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের। কী ভাবেই বা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন, সেই ধারণাও নেই তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন