Radhika Yadav Murder

চারটি গুলি লেগেছিল রাধিকার! হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড়ের দেহের ময়নাতদন্তের পরে কী বলছে প্রাথমিক রিপোর্ট

পুলিশের একটি অংশ মনে করছে, বাবা এবং কন্যার সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কন্যা রাধিকা যে টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাচ্ছিলেন, তা মোটেও পছন্দ করতেন না দীপক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৮
Share:

রাধিকা যাদব। — ফাইল চিত্র।

রাধিকা যাদবের শরীরে চারটি গুলি লেগেছিল। তেমনটাই বলছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড়কে বৃহস্পতিবার গুরুগ্রামের বাড়িতে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বাবাকে। শুক্রবার তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিছন থেকে গুলি করা হয়েছিল রাধিকাকে।

Advertisement

শুক্রবার রাধিকার দেহের ময়নাতদন্ত করেছিল চিকিৎসকদের যে দল, তাতে ছিলেন দীপক মাথুর। তিনি বলেন, ‘‘রাধিকা যাদবের শরীর থেকে চারটি গুলি বার করা হয়েছে।’’ তাঁকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন বাবা দীপক যাদব। কিন্তু কেন কন্যাকে খুন করলেন তিনি, তা পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, জেরায় দীপক দাবি করেছেন, তিনি মেয়ের উপার্জনে জীবনযাপন করেন বলে অনেকে ঠাট্টা করতেন। সেই রাগেই মেয়েকে খুন করেছেন। যদিও পুলিশের একটি অংশ মনে করছে, বাবা এবং কন্যার সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কন্যা রাধিকা যে টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাচ্ছিলেন, তা মোটেও পছন্দ করতেন না দীপক। সেই নিয়ে কন্যার সঙ্গে ঝামেলাও হত তাঁর।

গুরুগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ সিংহ বলেন, ‘‘রাধিকার বাবা কন্যার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালানো নিয়ে খুশি ছিলেন না। অনেক বার তাঁকে ওই কেন্দ্র বন্ধ করার কথা বলেছিলেন দীপক। রাধিকা শোনেননি। রেগে গিয়ে তাঁকে গুলি করেন।’’ পুলিশের আরও দাবি, অভিযুক্ত মনে করতেন কন্যার রোজগারের প্রয়োজন নেই তাঁর। বাড়ি ভাড়া দিয়ে যথেষ্ট রোজগারও করতেন তিনি। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল, কন্যাকে লক্ষ্য করে দীপক পাঁচটি গুলি চালিয়েছিলেন। তিনটি প্রবেশ করেছিল রাধিকার শরীরে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চারটি গুলি তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে।

Advertisement

রাধিকার কাকা কুলদীপ যাদব জানিয়েছেন, দীপকের বন্দুক ছিল, পয়েন্ট ৩২ বোর রিভলভার। তিনি বলেন, ‘‘রাধিকার দেহের পাশেই পড়েছিল সেই বন্দুক।’’ এখনও তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না, কেন কন্যাকে খুন করেছেন তাঁর দাদা। কুলদীপের অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ।

রাধিকা জাতীয়স্তরে টেনিস খেলতেন। চলতি বছরের শুরুতে ইনদওর এবং কুয়ালালামপুরে টেনিস খেলেছিলেন। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনে তাঁর র‌্যাঙ্ক ছিল অতীতে ১৯৯৯। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে রাধিকাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বাবা দীপকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement