তুষারধসের জেরে মৃত ১১ জওয়ান, কাশ্মীরে নিখোঁজ আরও ৩, জারি সতর্কবার্তা

আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রথম ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের তুষারধস নামল কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায়। বুধবার তাতে প্রাণ হারালেন ১১ জন সেনা। এ ছাড়াও সাত জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ তিন জন সেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

বরফের মধ্যেই আধাসেনার টহলদারি। কাশ্মীরে এএফপি-র ছবি।

আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রথম ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের তুষারধস নামল কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায়। বুধবার তাতে প্রাণ হারালেন ১১ জন সেনা। এ ছাড়াও সাত জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ তিন জন সেনা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে তুষারধসে ৮ জনের মৃত্যুর পর থেকেই উপত্যকা জুড়ে জারি করা হয়েছিল তুষারধসের সতর্কবার্তা। বিশেষ করে কুপওয়ারা, উরি, বারামুলা, লোলাব, গুরেজ, মাচিল-সহ একাধিক এলাকার মানুষকে ওই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয়েছিল, বুধবারও দিনভর তুষারপাতের জেরে আবার যে কোনও সময় তুষারধস নামতে পারে। বিকেল ৫টা থেকে সেই সতর্কবার্তা জারি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাহাড় বেয়ে কয়েক টন বরফ নেমে এল গুরেজ সেক্টরে।

সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় তুষারধস এসে সোজা ধাক্কা মারে সেনার একটি ক্যাম্পে। কিছু দূরে একটি টহলদারি বাহিনীও আটকে পড়ে তাতে। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বরফ সরিয়ে কোনও মতে বের করে আনা হয় এক সেনা অফিসার ও ছয় জওয়ানকে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ চালানো যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে কয়েক টন বরফ সরিয়ে বের করে আনা হয় ১১টি দেহ। এখনও পর্যন্ত তিন জনের খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া।

Advertisement

মঙ্গলবারের তুষারপাতের পরেই ধস নেমেছিল গান্ডেরবাল এবং বান্দিপোরা জেলায়। তার কবলে পড়ে সোনমার্গের একটি সেনা ক্যাম্প। মৃত্যু হয় এক সেনা অফিসারের। ওই দিনই ধসে গুরেজ সেক্টরে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাতে চাপা পড়ে যান এক পরিবারের পাঁচ সদস্য। এক জনকে উদ্ধার করা গেলেও মৃত্যু হয় বাকি চার জনের। রাতে অন্য একটি বাড়ি ভেঙে ও ঠান্ডায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। এ দিনের ঘটনায় তুষারধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বুধবারই উপত্যকার বেশ কিছু এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল বাসিন্দাদের। বুধবারের তুষারধসের পরে গুরেজের খাড়িয়াল ও ইসমার্গ গ্রাম থেকে প্রায় দেড়শো জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, তুষারপাতের জেরে মঙ্গলবার থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক। দৃষ্যমানতা কম থাকায় বন্ধ শ্রীনগর বিমানবন্দরও। রাজ্যের ট্রাফিক কন্ট্রোল দফতর ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একই সঙ্গে জানিয়েছেন, আবহাওয়ায় উন্নতি হলেই ওই জাতীয় সড়ক ও বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এক চিলতে আশার আলো দেখিয়ে আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সোনাম লোটাস এ দিন বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে আশা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement