—প্রতীকী চিত্র।
চলন্ত বাসে সন্তানপ্রসবের পর তাকে প্লাস্টিকে মুড়ে জানলা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পরভণীতে। মৃত অবস্থায় সদ্যোজাতটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে যুগলকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় পাথরী-সেলু রোড দিয়ে একটি দূরপাল্লার বেসরকারি বাস যাচ্ছিল। এক বৃদ্ধ সহযাত্রী হঠাৎ লক্ষ করেন, স্লিপার কোচ থেকে হাত বাড়িয়ে জানলা দিয়ে কিছু একটা ছুড়ে দেওয়া হল বাইরে। বৃদ্ধের সন্দেহ হয়। তিনি প্রশ্ন করেন দুই সহযাত্রীকে। তখন এক যুবক জানান, তাঁর স্ত্রী বমি করেছেন প্লাস্টিকের মধ্যে। সেটাই জানলা দিয়ে তিনি ছুড়ে ফেলেছেন। বৃদ্ধ চুপ করে যান। কিন্তু বাসের চালকও লুকিং গ্লাসে ওই দৃশ্যটি দেখেছিলেন। তিনি খানিক ক্ষণ পরে খোঁজ নেন। তাঁকেও একই কথা বলেন ওই যুবক।
তার মিনিট কয়েক বাদে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোনো এক বৃদ্ধ পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে জানান, রাস্তায় প্লাস্টিকের মধ্যে একটি সদ্যোজাত শিশু পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। খোঁজখবর করে কিছু ক্ষণ বাদেই বাসটিকে চিহ্নিত করা হয়। ধরা হয় ওই যুগলকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক ও যুবতীর নাম আলতাফ শেখ এবং রীতিকা ধেরে। রীতিকার বয়স মাত্র ১৯ বছর। আলতাফ নিজেকে ওই তরুণীর স্বামী বলে দাবি করেছেন। কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যুবক জানান, বাসে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন রীতিকা। তাঁরা দু’জনে প্লাস্টিকে মুড়ে বাচ্চাটিকে ফেলে দিয়েছেন!
জানা গিয়েছে, শিশুটি জন্মানোর পরে তাকে একটি কাপড়ে মুড়ে রেখে দিয়েছিলেন মা। শিশুটির বাবা বলে দাবি করেছেন যে যুবক, সেই আলতাফ পরে প্লাস্টিকে মুড়ে সদ্যোজাতটিকে বাসের জানলা দিয়ে বাইরে ছুড়ে দেন। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই যুগলকে। আপাতত যে বিবরণ শুনেছেন, তাতে চমকে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরাও।