কোথায় যাবেন, কী বলবেন বা কাদের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল গাঁধী? এ সব দেখার জন্য ছোট্ট একটা টিম রয়েছে। ওই টিমের সদস্যেরা মূলত ব্যাকরুম ম্যানেজার হিসাবেই পরিচিত। ‘নিউ-এজ পলিটিক্স’-এ দক্ষ এই টিম সর্বদা ঘিরে থাকে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সভাপতি রাহুলকে। কারা রয়েছেন সেই দলে? দেখে নিন।
কৌশল কে বিদ্যার্থী: ২০০৮-এ টিম-রাহুলে যোগ দেন। তাঁর কোর টিমের অন্যতম প্রধান সদস্য। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। পড়াশোনা করেছেন আরবান প্ল্যানিং নিয়ে। উত্তরপ্রদেশে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। রাহুলের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করা এবং তাঁর ভাষণের জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি করেন কৌশল।
কনিষ্ক সিংহ: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ব্যাঙ্কের কাজ ছেড়ে ২০০৩-এ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। শীলা দীক্ষিতের হয়ে প্রচার করেছিলেন। ২০০৪-এ আউটলুক ম্যাগাজিনে লেখা তাঁর একটি আর্টিকল জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি রাহুলের নজর কেড়েছিল। ২০০৪-এ অমেঠী থেকে রাহুল জেতার পর থেকেই তাঁর সঙ্গী হিসাবে রয়েছেন কনিষ্ক।
কে বি বাইজু: প্রাক্তন এসপিজি অফিসার। ২০১০-এ কাজ ছেড়ে দেন। এখন রাহুলের নিরাপত্তার সমস্ত বিষয়টি দেখেন তিনি। পাশাপাশি, লজিস্টিক ও মিডিয়ার বিষয়টাও দেখাশোনা করেন তিনি।
দিব্যা স্পন্দনা: কন্নড় অভিনেত্রী দিব্যার রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু ২০১২-য়। ওই বছরে যুব কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ২০১৩-য় কংগ্রেসের টিকিটে কর্নাটকের মান্ড্য থেকে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। তিনি টিম রাহুলের এক জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। রাহুলের সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি দেখেন তিনি। তাঁর আগে এই বিষয়টি দেখোশোনা করতেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্মী অলঙ্কার সাওয়াই। রাহুল গাঁধীর অফিসের হয়ে নানা রকম ডক্যুমেন্টেশন দেখাশোনা করতেন।
সচিন রাও: মিশিগান বিজনেস স্কুল থেকে কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজি এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে এমবিএ করেছেন। যুব কংগ্রেস এবং এনএসইউআই সংগঠনের দেখোশোনার দায়িত্বে রয়েছেন। দিল্লির সেন্টার ফর সিভিল সোসাইটিতে কাজ করার সময় রাহুল গাঁধীর নজরে আসেন। তার পর থেকেই রাহুলের সঙ্গী সচিন।