বাংলাদেশি জঙ্গি সন্দেহে এক যুবককে ধরা হল কাছাড়ে। গত রাতে সোনাইয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সোহেল আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি যুবককে। তুলে আনা হয়েছে আশ্রয়দাতা গৃহকর্তাকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে বাংলাদেশে এক জনকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করেছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ঢাকায় গুলশন-হত্যাকাণ্ডেও সোহেল জড়িত থাকতে পারে।
পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন জানিয়েছেন, ২৩ বছরের যুবক সোহেল ওরফে সাজু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা। বাড়ি নোয়াখালি জেলার অনন্তপুরে। গোয়েন্দারা তাঁকে জেএমবি সদস্য বলে সন্দেহ করছেন। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোহেল অবশ্য জেএমবি-যোগের কথা অস্বীকার করছে। তার দাবি, কাজের সন্ধানে
গত বছর এপ্রিলের সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসে সোনাইর স্বাধীনবাজারে।
রাকেশবাবু জানান, গত সেপ্টেম্বরে জেএমবি-র অসম মডিউলের প্রধান জহিদুল ইসলাম ওরফে জমিরুলকে কাটিগড়ায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখনই প্রমাণ মেলে, জেএমবি এই অঞ্চলে ‘নেটওয়ার্ক’ তৈরিতে তৎপর। তাই গোয়েন্দাদের অনুমানকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য, সোহেল আহমেদের সোনাইয়ে বসবাসকে তাঁরা যথেষ্ট গুরুত্ব গিয়ে দেখছেন। এখানকার কারা তার সঙ্গে এতদিন সম্পর্ক রাখছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে কী উদ্দেশ্যে এখানে এসেছে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।