গুম নাম হ্যায় কোই! অশরীরী আত্মায় বিশ্বাস করেন? ভয় পেলেও ভূত নিয়ে কৌতূহল তো নিশ্চয়ই রয়েছে আপনার। দেশের কয়েকটি জায়গায় অশরীরীদের উপস্থিতির নানারকম ঘটনা শোনা গিয়েছে। সরকারের তরফে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একঝলকে দেখে নিন জায়গাগুলি।
রাজস্থানের ভানগড় কেল্লা : রাজা মাধো সিংহ এই কেল্লা তৈরি করেন। এক তান্ত্রিক ও রাজকন্যার সম্পর্ক নিয়েও কিছু স্থানীয় প্রবাদ রয়েছে। ওই দুর্গে প্রবেশ করলে কেউ নাকি আর বেরিয়ে আসতে পারেন না। বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনাও শোনা গিয়েছে ওই কেল্লা চত্বরে। সূর্যাস্তের পর এই কেল্লায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গুজরাতের দুমাস বিচ : গুজরাতের এই সমুদ্র সৈকতে মৃতদের আত্মারা নাকি রাতে ঘুরে বেড়ায়। শ্মশান ছিল এটি। রাতে সমুদ্রতটে হাঁটতে গেলেই নাকি অশরীরীর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। সন্ধ্যা নামলে এই তটে প্রবেশ নিষেধ।
পুণের শনিওয়াড় ওয়াদা কেল্লা : পুণের এই কেল্লায় পূর্ণিমার রাতে নাকি এক রাজপুত্রকে দেখা যায়। বছর তেরোর রাজপুত্রকে নাকি খুন করেছিলেন তাঁর এক আত্মীয়। সেই রাজকুমারের অতৃপ্ত আত্মাকেই নাকি পূর্ণিমার রাতে দেখা যায়।
দিল্লির সঞ্জয় ভান : ফাঁকা রাস্তা। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে সাদা শাড়ি পরা এক মহিলাকে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। আশপাশে জঙ্গলও রয়েছে। কয়েক দশক ধরে এই অশরীরীর অস্তিত্বের কথা শোনা গিয়েছে।
অগ্রসেন কি বাওলি: দিল্লির এই ঐতিহাসিক স্থানটি ঘিরে অশরীরীর উপস্থিতির অজস্র গল্প রয়েছে। অন্ধকূপে ফেলে দেওয়া হয়েছিল যাদের, তাদেরই আত্মা নাকি ঘুরে বেড়ায় এখানে। সন্ধ্যার পরে প্রবেশ এক্কেবারে নিষেধ।
রাজস্থানের কোটার ব্রিজরাজ ভবন: ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের সময় মেজর বার্টন ও তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছিল। এরপর থেকেই নাকি নানারকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। রক্ষীরাও নাকি টের পেয়েছেন।
মুম্বইয়ের ডি’সুজা চওল: মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত ভৌতিক স্থান। জল তুলতে গিয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর আত্মাকেই নাকি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এখানে। তবে কোনও ক্ষতিকারক ঘটনা ঘটেনি এখনও।
মেরঠের এর জিপি ব্লক: অনেকেই নাকি দেখেছেন চারটি ছেলে একেবারে দোতলা বাড়ির ছাদে বসে পা ঝুলিয়ে গল্প করছে। ওদের হাতে রয়েছে পানীয়। কেউ দেখেছেন, একটি মেয়ে লাল শাড়ি পরে বেরিয়ে আসছে। তবে ফাঁকা দোতলা বাড়িটির দিকে যাওয়া মানা।
মুসৌরির স্যাভয় হোটেল: মিস ফ্রান্সিস গার্নেট ওর্ম নামে এক মহিলা বিষক্রিয়ায় মারা যান নাকি ১৯১১ সালে নির্মিত এই হোটেলে। আর তারপর থেকেই অশরীরীর পায়ের শব্দ ও কান্না শুনতে পাওয়া যায় স্যাভয় হোটেলে।