Bharat Bandh

লাইভ: কেরল, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে বন্‌ধের প্রভাব, অন্যত্র মিশ্র সাড়া

বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই এবং ট্রান্সপোর্ট-এর কর্মীরা সোমবার মধ্যরাত থেকেই মুম্বইতে ধর্মঘটকে সফল করতে পথে নেমে পড়েছেন। সকাল থেকেই ব্যহত বাস পরিষেবা।  উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ইনকাম ট্যাক্স ফেডারেশনের কর্মীরাও বনধ্‌কে সফল করতে তৎপর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১১
Share:

গুয়াহাটিতে ট্রেন অবরোধে সিটু সমর্থকরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ন্যূনতম মজুরির দাবি, বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ-সহ একাধিক ইস্যুতে ১৮টি বাম সংগঠনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ভারত বন্‌ধে মিশ্র দেশ জুড়ে। বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে ওড়িশা, কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ-সহ প্রায় সব রাজ্যেই। মিশ্র প্রভাব পড়েছে উত্তরপ্রদেশ-মুম্বইতেও।

Advertisement

মঙ্গলবার এবং বুধবার অর্থাৎ ৮ এবং ৯ জানুয়ারি দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে বাম সমর্থিত ১৮টি শ্রমিক সংগঠন। সোমবার মধ্যরাত থেকেই কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মহীশূরের স্কুল-কলেজগুলিতে গতকালই ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। একই চিত্র ওড়িশাতেও। সেখানেও আজ বন্ধ স্কুল এবং কলেজগুলি।

তবে পশ্চিমবঙ্গের নানান জায়গায় সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাইভ: বারাসতে পড়ুয়া ভর্তি স্কুল বাসে ভাঙচুর, বামেদের বন্‌ধে বিক্ষিপ্ত অশান্তি রাজ্যজুড়ে

আরও পড়ুন: হাওড়া-শিয়ালদহ শাখায় রেল অবরোধ, শ্রীরামপুরে লাঠিচার্জ পুলিশের

ওড়িশা

ভারত বন্‌ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ওড়িশা। সকাল থেকেই দফায় দফায় রেল-রাস্তা অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ভদ্রক-সহ বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাস্তায় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা পিকেটিং, অবস্থান করছেন। পুরীতে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক পর্যটক।

কেরল

বাম শাসিত রাজ্য কেরলে সকাল থেকেই রাস্তায় শ্রমিক সংগঠনগুলি। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজধানী তিরুঅনন্তপুরম, ত্রিশূর, কোচি-সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। যানবাহন চলছে হাতে গোনা। সকাল থেকে দোকানপাট খোলেনি। বন্ধ অধিকাংশ স্কুল-কলেজ ও সরকারি অফিস। তার মধ্যেই রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে বন্‌ধ ঘিরে কোথাও বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি।

পশ্চিমবঙ্গ

বন্‌ধে বিক্ষিপ্ত প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে। সকাল থেকেই রাস্তায় সিটু-সহ বাম শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। বিভিন্ন প্রান্তে রেল ও রাস্তা অবরোধে ব্যাহত হয় জনজীবন। হাওড়া-শিয়ালদহের প্রায় সব শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন। এছাড়া গড়িয়া বাজারে বাস ভাঙচুর, যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, বারাসতে স্কুল বাসে ভাঙচুরের মতো অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্যের অন্যত্রও মিছিল-অবরোধ হয়েছে।

মহারাষ্ট্র

মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গাতেও ভারত বন্‌ধের ভাল প্রভাব পড়েছে। মুম্বইয়ে বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই এবং ট্রান্সপোর্ট-এর কর্মীরা সোমবার মধ্যরাত থেকেই ধর্মঘটকে সফল করতে পথে নেমে পড়েছেন। সকাল থেকেই ব্যহত বাস পরিষেবা। তবে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, ৪০টি অতিরিক্ত বাস চালানো হচ্ছে।

অসম

বন্‌ধের জেরে জনজীবন ব্যাহত অসমেও। গুয়াহাটি-সহ বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধে আটকে পড়ে বহু ট্রেন। অন্যান্য যানবাহনও চলছে খুব কম। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল হন। স্কুল-কলেজ, সরকারি দফতর খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার কম।

কর্নাটক

৪৮ ঘণ্টার ভারত বন্‌ধে ভাল সাড়া পড়েছে কর্নাটকের হুবলিতে। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ-বিক্ষোভে শামিল হন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তবে বেঙ্গালুরুতে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে।

দিল্লি

রাজধানী দিল্লিতেও পড়েছে বন্‌ধের প্রভাব। তবে মোটের উপর জনজীবন স্বাভাবিক। সকালের দিকে পতপরগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে মিছিল করেন বাম শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। তবে রাজ্যের অন্যত্র বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়েনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন