‘ভারতমাতা কি জয় বলাই দেশভক্তি নয়’, মনে করেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু

উপরাষ্ট্রপতি আজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারতমাতা কি জয় স্লোগান দেওয়াই দেশাত্মবোধের পরিচয় হতে পারে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

বেঙ্কাইয়া নায়ডু

‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দেওয়াটাই দেশাত্মবোধের পরিচয় হতে পারে না বলে মনে করেন উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু। যুব সমাজের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, জাতি, সম্প্রদায়, গ্রাম-শহরের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন কাম্য নয়।

Advertisement

উপরাষ্ট্রপতি আজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারতমাতা কি জয় স্লোগান দেওয়াই দেশাত্মবোধের পরিচয় হতে পারে না। সকলের জয় হোক— এটাই দেশপ্রেম। কেউ যদি জাতি, ধর্ম, গ্রাম-শহরের ভিত্তিতে বিভাজন করে, তা হলে তার ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলা উচিত নয়।’’ বেঙ্কাইয়ার মতে, যুব সমাজের উচিত ‘নতুন ভারত’ গঠনকে পাখির চোখ করা। তাঁর মতে, দেশ যে দিন দুর্নীতি, অশিক্ষা, ভয়, ক্ষুধা এবং জাতিগত বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হবে, সে দিনই ‘নতুন ভারত’ তৈরি হবে। উপরাষ্ট্রপতির পরামর্শ, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে একজোট হতে হবে।

বেঙ্কাইয়ার মন্তব্যকে ‘অস্ত্র’ করতে দেরি করেনি বিরোধীরা। কংগ্রেস মনে করিয়ে দিয়েছে, উপরাষ্ট্রপতির পুরনো দল বিজেপি দেশে সব চেয়ে বেশি জাতি এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে, দেশের
বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের জোর করে ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করেছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ভিক্ষুককে ওই স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়ম করে জনসভাগুলিতে ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দেন। যার মূল লক্ষ্য, দেশভক্তি প্রমাণ করা।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এই প্রেক্ষিতে দেশাত্মবোধ নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বেঙ্কাইয়া মনে করিয়ে দিয়েছেন, ঔপনিবেশিক মানসিকতা ছেড়ে প্রকৃত ইতিহাস, সংস্কৃতি জানতে হবে। সেটাই প্রকৃত দেশপ্রেম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন