Miss World Contest

‘চরম নারীবিদ্বেষী মানসিকতা!’ ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ বিতর্কে ইংল্যান্ডের সুন্দরীর পাশে দাঁড়ালেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন মন্ত্রী

গত ১০ মে থেকে হায়দরাবাদে বিশ্বসুন্দরী (মিস ওয়ার্ল্ড) প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। আচমকা অন্যতম প্রতিযোগী ‘মিস ইংল্যান্ড’ মিলা প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম তুলে নেন। আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তোলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ১৮:২২
Share:

মিলা ম্যাগি। — ফাইল চিত্র।

‘মিস ইংল্যান্ড’ মিলা ম্যাগির পাশে দাঁড়ালেন তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র কার্যকরী সভাপতি কেটি রাম রাও। প্রতিযোগীদের শোষণ করা এবং নারীবিদ্বেষী আচরণের অভিযোগে সম্প্রতি হায়দরাবাদে চলা ২০২৫ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মিলা। এ বার তাঁরই সমর্থনে দাঁড়ালেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন মন্ত্রী।

Advertisement

তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পুত্র রাম রাও কেটিআর নামেই সমধিক পরিচিত। রবিবার মিলার সমর্থনে কেটিআর নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘মিস ওয়ার্ল্ডের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় এ হেন নারীবিদ্বেষী মানসিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং প্রতিবাদ করতে অনেক সাহস লাগে। মিলা ম্যাগি, আপনি অত্যন্ত সাহসী নারী। আমি সত্যই দুঃখিত যে আমাদের তেলঙ্গানা রাজ্যে আপনাকে এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নারীদের সম্মান করাই তেলঙ্গানার সংস্কৃতি। দুর্ভাগ্যবশত, আপনার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা আদৌ তেলঙ্গানার সংস্কৃতি নয়।’’ ঘটনায় অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কেটিআর। তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন কন্যাসন্তানের বাবা হিসাবে আমি চাই কোনও মহিলা বা মেয়েকে কখনও এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে না হোক।’’

গত ১০ মে থেকে হায়দরাবাদে বিশ্বসুন্দরী (মিস ওয়ার্ল্ড) প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। সেখানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন রাজস্থানের নন্দিনী গুপ্ত। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু আচমকা অন্যতম প্রতিযোগী ‘মিস ইংল্যান্ড’ মিলা প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম তুলে নেন। আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তোলেন তিনি। মিলার অভিযোগ, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আড়ালে আসলে প্রতিযোগীদের নানা ভাবে শোষণ করা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানে নিজেকে যৌনকর্মী বলে মনে হচ্ছিল। বাঁদরকে যে ভাবে নাচানো হয়, সেই ভাবেই আমাদের পারফর্ম করতে হচ্ছিল।’’ এর পরেই উষ্মা প্রকাশ করে মিলা বলেন, ‘‘আমি কারও মনোরঞ্জনের পাত্রী হতে আসিনি।’’ মিলা আরও জানিয়েছেন, প্রতিযোগীদের সকাল থেকে মেকআপ করা, পোশাক পরা, সেগুলি ঘনঘন বদলানো, ইত্যাদি করতে হত। তার পর হাঁটতে হত ধনী পুরুষদের সামনে, তাঁদের মনোরঞ্জনও করতে হত। উল্লেখ্য, ৭৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রতিযোগী ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন। তা নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে বিশ্বে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement