বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ জেডিইউ নেতা-কর্মীদের। মঙ্গলবার পটনায়। ছবি: পিটিআই।
বিহারে ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গেলেও এখনও প্রার্থিপদ নিয়ে বড় দলগুলির অন্দরে ডামাডোল থামছে না। টিকিট বণ্টনকে ঘিরে অসন্তোষের জেরে জেডিইউ-র বেশ কয়েক জন নেতা পটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মঙ্গলবার বেলায় এই ঘটনার পরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। পুলিশ এবং নীতীশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা বাসভবন চত্বর ঘিরে রেখেছেন।
পুলিশের বারণ সত্ত্বেও নীতীশের বাড়ির সামনে স্লোগান দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে যাওয়া জেডিইউ নেতা-কর্মীরা। কারও দাবি, তাঁর পছন্দের নেতাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। আবার কারও দাবি, তাঁর এলাকায় বহিরাগত এক জনকে টিকিট দেওয়ার কথা চলছে। প্রাক্তন জেডিইউ বিধায়ক গোপাল মণ্ডল নিজেই নীতীশের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন। তাঁর দাবি, নীতীশের সঙ্গে দেখা না-করে তিনি ওই জায়গা থেকে নড়বেন না। গোপাল বলেন, “যত ক্ষণ না টিকিট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ আমি ধর্না চালিয়ে যাব। আমি ওঁর (নীতীশ) জন্য অপেক্ষা করব। নিরাপত্তা আধিকারিকেরা চাইলে লাঠিচার্জ করতে পারেন।”
ভাগলপুরের জেডিইউ সাংসদ অজয় মণ্ডল তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে টিকিট বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই নীতীশকে একটি চিঠি দিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এনডিএ আসন সমঝোতা সেরে ফেললেও টিকিট বণ্টন নিয়ে অসন্তোষের জেরে এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি জেডিইউ।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সমান সংখ্যক আসন (১০১)-এ লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি এবং নীতীশের জেডিইউ। অন্য দিকে, এখনও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারেনি আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন। তার মধ্যেই সোমবার দলের বেশ কয়েক জন প্রার্থীর হাতে আরজেডি-র হ্যারিকেন প্রতীক তুলে দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতেই হাসিমুখে লালুর পটনার বাসভবন থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছিল আরজেডি নেতাদের। লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব পটনায় ফিরতেই দলের প্রতীক পাওয়া প্রত্যেককে তলব করা হয় এবং তাঁদের প্রতীক ফিরিয়ে দিতে বলা হয়।