Nitish Kumar

‘চাকরি চাই’, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের কাছে আর্জি অন্য নীতীশের

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সুরক্ষাবলয় ভেদ করার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঘটনাচক্রে, তিনিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নামধারী অর্থাৎ নীতীশ কুমার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৫৭
Share:

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সুরক্ষাবলয় ভেদ করার চেষ্টায় যুবক। ছবি: পিটিআই।

বিহার মিলিটারি পুলিশে চাকরির দাবিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সুরক্ষাবলয় ভেদ করার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঘটনাচক্রে, তিনিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নামধারী অর্থাৎ নীতীশ কুমার। নিজের প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেননি এই নীতীশ। পোস্টার হাতে মুখ্যমন্ত্রী কাছে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কী করে তিনি কড়া সুরক্ষাবেষ্টনী এড়াতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবার পটনায় এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।

Advertisement

মঙ্গলবার পটনার গান্ধী ময়দানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ভাষণ চলাকালীন আচমকাই এক যুবককে নীতীশ কুমারের মঞ্চের দিকে পোস্টার হাতে এগোতে দেখা যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছাকাছি পৌঁছনোর আগেই ২৬ বছরের ওই যুবককে আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পর তাঁকে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘ওই যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা প্রয়াত রাজেশ্বর পাসোয়ানের পুত্র। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা (বিহার মিলিটারি পুলিশ) ‘বিএমপি’র কর্মী ছিলেন। বছর কয়েক আগে তাঁর মৃত্যু হয়।’’

Advertisement

জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে চাকরিরত অবস্থায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই যুবক। তাঁর আরও দাবি, সহানুভূতির খাতিরে তাঁকে ওই চাকরি দেওয়া হোক। সে আর্জি জানাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। জেলাশাসকের কথায়, ‘‘এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি আমরা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন