ফের গাড়ি শিল্পে যুক্ত যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশ জুড়ে গাড়ি বিক্রি তলানিতে। ইতিমধ্যে সার্বিক ভাবে এই শিল্পে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কর্মী কাজ হারিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৩
Share:

আশিস কুমার

সপ্তাহ খানেক আগে ঝাড়খণ্ডে একটি গাড়ি যন্ত্রাংশ সংস্থার কর্মী কাজ হারিয়ে আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ফের সেই রাজ্যেই আর এক যন্ত্রাংশ সংস্থার কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যিনি আবার স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলে। তাঁর পরিবারের একাংশের দাবি, চাকরি নিয়ে সংশয় থেকেই আশিস কুমার নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তবে জামশেদপুরের পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। কাজ হারানোর আশঙ্কায় না পারিবারিক অশান্তির কারণে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

দেশ জুড়ে গাড়ি বিক্রি তলানিতে। ইতিমধ্যে সার্বিক ভাবে এই শিল্পে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কর্মী কাজ হারিয়েছেন। যন্ত্রাংশ শিল্পের আশঙ্কা, এই অবস্থা চললে শুধু সেই ধরনের সংস্থাগুলিতেই প্রায় ১০ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হবেন।

সিংভূম ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা জামশেদপুরের আদিত্যপুর গোমহারিয়া শিল্পাঞ্চলে এক যন্ত্রাংশ সংস্থার কর্তা বিকাশ মুখোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘গাড়ির চাহিদা কমায় যন্ত্রাংশের চাহিদাও খুব কমে গিয়েছে। বহু কারখানা মাসে হয়তো ১৫-২০ দিন খোলা থাকছে। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। আরও অনেকেই সেই আশঙ্কায় রয়েছেন।’’

Advertisement

আশিসের মৃত্যুর জন্য গাড়ি শিল্পের মন্দা দশাকেই ইঙ্গিত করেছেন তাঁর বাবা কুমার বিশ্বজিৎ। তাঁদের বাড়ি জামশেদপুরের বারিডিহ এলাকায়। কুমার সেই ব্লকেরই বিজেপি নেতা। বছর খানেক আগে আশিসের বিয়ে হয়। কুমার পুলিশকে জানিয়েছেন, সংস্থাটিতে তাঁর ছেলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। গত শুক্রবার সকালে তিনি অফিস যান। বিকেলে তাঁকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে। গত কয়েক মাস অফিস নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিল আশিস। যদিও কুমারকে এ দিন ফোন করলেও তিনি এ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই সংস্থাটি টাটা মোটরস-কেও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করত। যদিও আশিস তাদের সংস্থায় কর্মরত ছিলেন না বলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি টাটা মোটরস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন