২০১৯ সালের পুলওয়ামা কাণ্ডের পর ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী। তাঁর মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছে। চন্নীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। তাদের কটাক্ষবাণে বিদ্ধ কংগ্রেসও। ভারতের শতাব্দীপ্রাচীন দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। তাদের দাবি, সন্ত্রাস হামলা নিয়ে কংগ্রেস দ্বিচারিতা করছে। অভিযোগ, কংগ্রেস দলগত ভাবে যা বলছে, তার বিপরীত প্রতিক্রিয়াই শোনা যাচ্ছে দলীয় নেতাদের কণ্ঠে। এতে ভারতের নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনীর মনোবলে আঘাত লাগছে, যা একেবারেই কাম্য নয়!
বিতর্কের সূত্রপাত, চন্নীর একটি মন্তব্য থেকে। শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী বা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চন্নী। সেই সময়েই পুলওয়ামা পরবর্তী ভারতের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, ‘‘তারা (নরেন্দ্র মোদীর সরকার) বলে যে, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে। কিছু হয়নি, কেউ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দেখেননি। কেউ জানতেও পারেননি।’’
চন্নীর মন্তব্য ‘দেশবিরোধী’ বলে অভিযোগ তুলে আসরে নামে বিজেপি। শনিবার এই নিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তাঁর দাবি, ‘‘এরা বাইরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি, কিন্তু ভেতরে পাকিস্তান ওয়ার্কিং কমিটি!’’ সম্বিতের কথায়, ‘‘পহেলগাঁওয়ে হামলার পর সমগ্র দেশ শোকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। শুক্রবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কিছু প্রস্তাব পাশ হয়। সেই প্রস্তাবে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গেজি (মল্লিকার্জুন) এক রকম কথা (ভারত সরকারকে সমর্থন) বলছেন, আর তাঁর দলের নেতারা অন্য কিছু বলছেন।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন কংগ্রেস পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সরকার এবং জঙ্গিদের অক্সিজেন সরবরাহ করার কোনও সুযোগ ছাড়ছে না?’’ সম্বিতের দাবি, কংগ্রেস নেতাদের এ ধরনের মন্তব্য ভারতের সাধারণ নাগরিক এবং সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।