ঠিক হয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন খবরাখবর শেয়ার করা হবে। কিন্তু, গত মঙ্গলবার তাতেই আসতে শুরু করল নগ্ন মহিলাদের একটার পর একটা ছবি। যিনি এই পর্ন ফটোগ্রাফগুলো শেযার করেছেন তিনি কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক মহান্তেশ কভতাগিমথ। সব মিলিয়ে পঞ্চাশটারও বেশি ছবি পোস্ট করেন তিনি।
‘বেলাগাভি মিডিয়া ফোর্স’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন কর্নাটকের অনেক মন্ত্রী-বিধায়ক, পুলিশ সুপার, পুরুষ ও মহিলা সরকারি অফিসার, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমেরও অনেক প্রতিনিধি। দ্রুত খবরাখবর আদানপ্রদানের জন্যই তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি। হঠাত্ই তাতে পর্ন ফটো আসতে থাকায় হুলস্থূল পড়ে যায়। বিরক্তিতে অনেকেই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। আবার অনেকেই এমন কাণ্ডের জন্য তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। শেষমেশ মহান্তেশকে ওই গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে দেন এক জন গ্রুপ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
আরও পড়ুন
চমক দিতে গিয়ে বেইজ্জত! দিল্লির জন্য জবাব খুঁজছেন দিলীপরা
তবে যাঁকে ঘিরে এত কাণ্ড সেই মহান্তেশের সঙ্গে তার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কারণ নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন তিনি।
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরণের পর্নোগ্রাফিক ছবি দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর আগেও কর্নাটকে মন্ত্রী-বিধায়কদের এ ধরণের কাণ্ড ঘটাতে দেখা গিয়েছে। ২০১২-তে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীনই পর্ন ছবি দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিন জন মন্ত্রী। সম্প্রতি এক সরকারি অফিসে এক মহিলাকে এক মন্ত্রীর দেওয়া কুপ্রস্তাবের ভিডিও ফাঁস হয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল।