তাঁর হনুমান পুজোয় চিন্তা বিজেপিতে

কংগ্রেস সভাপতির এই মন্দির পরিক্রমার সঙ্গে পরের লোকসভা ভোটের যোগ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি হিন্দুত্বের রাজনীতিতে হাওয়া দিচ্ছে জোরালো ভাবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৯
Share:

অমেঠীতে রাহুল। ছবি: পিটিআই।

পরনে সাদা কুর্তা পাজামা। মাথায় তিলক। হনুমান মন্দির থেকে বেরিয়ে এলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে আজই প্রথম উত্তরপ্রদেশে পা রাখলেন রাহুল। লখনউ বিমানবন্দরে নেমে যাওয়ার কথা অমেঠী-রায়বরেলীতে। আর সেই যাত্রাপথেই তাঁর কনভয় পৌঁছল রাস্তার পাশে চুরভা হনুমান মন্দির চত্বরে। মিনিট দশেকের পুজোপাঠ। তার পরে ফের যাত্রা নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের পথে।

Advertisement

গুজরাতে ভোটের প্রচারে বিজেপিকে টক্কর দিতে রাহুল ‘নরম হিন্দুত্ব’-র পথে এগিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে এ বার অন্তত কুড়িটি মন্দিরে পুজো দিয়েছেন রাহুল। গুজরাতে ভাল ফল করার পরে পৌঁছেছিলেন সোমনাথ মন্দিরেও। আর কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে আজই প্রথম হিন্দি বলয়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে পা দিলেন রাহুল। আর তা শুরু হল হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে।

কংগ্রেস সভাপতির এই মন্দির পরিক্রমার সঙ্গে পরের লোকসভা ভোটের যোগ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি হিন্দুত্বের রাজনীতিতে হাওয়া দিচ্ছে জোরালো ভাবে। তৈরি গৈরিকীকরণের সব আয়োজন। আর এ সময়ে রাহুল বিজেপিকে ফাঁকা জমি ছেড়ে দিতে রাজি নন। এর আগেই রাজীব-পুত্র বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে সংকীর্ণতার রাজনীতির অভিযোগ এনে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন ‘শিব ভক্ত’ হিসেবে। আর আজ হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীকে ‘বিপ্লবী’ বললেন নেতানিয়াহু, সই ৯টি ‘মউ’

অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনকে জোরালো করে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। এই সময়েই রাহুলের হনুমান-ভক্তি বিজেপির জন্য উদ্বেগ নিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বক্তব্যেই আজ সে কথা ফুটে উঠেছে। কংগ্রেস সভাপতি পদে বসার পরে রাহুলের প্রথম উত্তরপ্রদেশ সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন যোগী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাহুলকে আমার পরামর্শ, উনি উন্নয়নের রাজনীতির দিকে নজর দিন।’’ আর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ বলেন, ‘‘রাহুলের মন্দিরে যাওয়ার ব্যাপারটা একেবারেই লোক দেখানো।’’

কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের প্রথম উত্তরপ্রদেশ সফরে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাও সামনে এসেছে। আজ রাজ্যের সালন এলাকায় তাঁর জনসভার আগেই বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মীদের মারামারি শুরু হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন