রাহুল গাঁধীর রাফাল-আক্রমণ সামলাতে এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর নতুন প্রধানকে সামনে আনল বিজেপি।
রাফাল-কাঁটা দূর করতে অনেক দিন ধরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করছিলেন, হ্যাল-এর রাফাল যুদ্ধবিমান তৈরির ক্ষমতাই ছিল না। কিন্তু মাস দু’য়েক আগে হ্যাল-এর সিএমডি পদ থেকে অবসর নেওয়া টি সুবর্ণ রাজু নির্মলার সব যুক্তিই উড়িয়ে দেন। রাহুল নিজে বেঙ্গালুরুতে হ্যাল-এর দফতরের সামনে কর্মীদের নিয়ে সভাও করেন। এ বার নতুন সিএমডি আর মাধবন কর্মীদের রাফাল-রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, এ-ও দাবি করলেন, হ্যাল কোনও দিনই ৩০ হাজার কোটি টাকার অফসেট চুক্তির দাবিদার ছিল না।
হ্যাল-এর নতুন প্রধানের মতে, কর্মীরা যদি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে সংস্থার ভাবমূর্তিতে আঁচ পড়ে। হ্যালের কাজ বিমান তৈরি করা। প্রযুক্তি হস্তান্তর আর উৎপাদনের সঙ্গে অফসেট-এর (প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম) তফাত রয়েছে। বিষয়টি আলাদা। কিছু কিছু ‘প্রোগ্রামে’ আলাদা ‘অফসেট’ আসতে পারে, কিন্তু মৌলিকভাবে ‘অফসেট’ চুক্তিতে নেই হ্যাল। অথচ রাজু জানিয়েছিলেন, হ্যাল কাঁচামাল থেকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সুখোই, সবই তৈরি করতে পারে। রাফাল নির্মাণকারী দাসোর তৈরি মিরাজ যুদ্ধবিমানও কুড়ি বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করছে হ্যাল।
মাধবনের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের তথ্যপ্রযুক্তি মোর্চার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, ‘‘রাফালের অফসেট চুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক প্রচারের মধ্যে হ্যাল-এর নতুন প্রধান স্পষ্ট করেছেন, তাঁরা অফসেট ব্যবসায় নেই। রাফালের অফসেট চুক্তি পাওয়ার দাবিদারও ছিল না হ্যাল। রাহুল মিথ্যা বলে চলেছেন।’’ কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক ফ্রান্স সফরের পর দাসোর সিইও ‘মিথ্যা’ বলতে শুরু করেছেন, যাতে ভারত সরকার বরাত বাতিল না করে দেয়। ইউপিএ জমানা থেকেই এ বিষয়ে হ্যালের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সরকারের যাতে সুবিধা হয়, নতুন প্রধান দায়িত্বে এসে তেমনই কথা বলছেন।