Narendra Modi

লোকসভায় হেরে যাওয়া আসন জয়ে মোদীই ভরসা ‘পদ্মে’

২০১৯-এর লোকসভায় জয় মেলেনি এমন ১৪৪টি আসনকে পাখির চোখ করছে কেন্দ্রের শাসক দল। আর এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে এগোতে চায় বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ০৮:০৩
Share:

সূত্রের খবর, ৪০টি সভা করতে পারেন মোদী। ফাইল ছবি

আগামী লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতা দখলের জন্য এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বিজেপি। ২০১৯-এর লোকসভায় জয় মেলেনি এমন ১৪৪টি আসনকে পাখির চোখ করছে কেন্দ্রের শাসক দল। আর এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে এগোতে চায় বিজেপি। সূত্রের খবর, ৪০টি সভা করতে পারেন মোদী। এ ক্ষেত্রে ১৪৪টি আসনকে ৪০টি ক্লাস্টারে (এলাকা) ভেঙে এই প্রচার কৌশল নেওয়া হতে পারে। তবে কোথায় কখন প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন, তা রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন অনুযায়ী ঠিক করা হবে। এই ৪০টি ক্লাস্টারের বাইরে বাকি লোকসভা আসনগুলিতে প্রভাস নামে প্রচার অভিযানে অংশ নেবেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এ ছাড়া বিধানসভা ভিত্তিক প্রচারের পুরোভাগে থাকবেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতারা।

Advertisement

সূত্রের খবর, প্রতিটি ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আসন ধরে প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছে দল। ২০২৪ সালের লোকসভা পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাস্টারে মাসে একটি করে প্রভাসের নির্দেশ দিয়েছে দল। এ ক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যে একটি ক্লাস্টারের প্রতিটি আসনে প্রভাস সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রভাসের পরে দলের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। সেখানে নির্দিষ্ট আসনে কোনও রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন হলেও তার সুপারিশ করতে পারবেন ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত। এ ছাড়া লোকসভা আসন ভিত্তিক প্রভারীও নিয়োগ করছে দল। তাঁরা ওই অঞ্চলে রাত্রিবাস করবেন। বৈঠকের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন। প্রভারীদের বলা হয়েছে, জাতিভিত্তিক মোর্চা গঠনের জন্য। ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে প্রচারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সেনা জওয়ান, প্রতিবন্ধী এবং প্রবাসী ভোটারদের সঙ্গেও যোগাযোগের দায়িত্বে থাকবেন ওই কেন্দ্রের প্রভারী।

Advertisement

সূত্রের খবর, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তত তিন দিনের প্রভাস আয়োজন আবশ্যিক। প্রভাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও প্রভারীদের পারস্পরিক সমম্বয়ের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।

দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্দষ্ট সময়ে তাঁদের রিপোর্ট পেশ করবেন। তাঁকে ওই অঞ্চলের পূর্ববর্তী নির্বাচনের পরিসংখ্যান, জাতিগত সমীকরণ, বিরোধীদের ত্রুটি, সংবাদমাধ্যমের তালিকা, উৎসব, বাজার, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাবেন দলীয় নেতৃত্ব।

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, আগামী লোকসভায় সবগুলি জেতা আসন ধরে রাখা বিজেপির বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে আসন খোয়ালেও যাতে ক্ষমতা ধরে রাখা যায়, তাই পরাজিত হওয়া আসনগুলিকে নিশানা করছে বিজেপি।

এ দিকে ভোট পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে বিধানসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার আগেই গুজরাতে প্রচারে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মিছিল ও জনসভায় অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। সেখান থেকেই একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার ৯ অক্টোবরেই শুরু হচ্ছে মোদীর গুজরাত সফর। ১১ তারিখ পর্যন্ত সেখানে থাকবেন তিনি। আবার ১৮ তারিখ ‘ডিফেন্স এক্সপো’ উদ্বোধনে গান্ধীনগর যাবেন মোদী। ২০ তারিখ সেখান থেকে ফিরবেন। অক্টোবরের শেষেও ফের গুজরাতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন