আসন সমঝোতা নিয়ে মন কষাকষি চলছে। নীতি-আদর্শ কর্মপন্থা নিয়েও কাটেনি জট, তবু তার মধ্যেও কংগ্রেস হঠাতে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করল বিজেপি, অগপ ও বিপিএফ।
অগপ ও বিজেপির মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি, বৃহৎ বাঁধ গড়া, শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মতো বেশ কিছু বিষয়ে যে মতপার্থক্য আছে তা অগপর ইস্তাহার থেকে আরও স্পষ্ট হয়েছে। অন্য দিকে, বিজেপির চাপে সরভোগ, ভবানীপুর, রঙিয়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে বিপিএফ। কিন্তু তারপরেও তাদের প্রার্থীরা ‘নির্দল’ হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের প্রশ্নেও অগপ-বিজেপি-বিপিএফ জোটে দ্বন্দ্ব আছে।
কংগ্রেসের তরফে প্রচারে বিরোধী জোটের মতভেদকে তুলে ধরা হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে তাই তিন দলের মাথারা একত্রে ঘোষণা করলেন, কংগ্রেস হঠাতে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ।
বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা ঘোষণা করেন, “আমি যে দিকে থাকি তাঁরাই সরকার গড়ে। রাজ্যে এটাই দস্তুর। তাই এবার কংগ্রেস বিরোধী জোটই জিতছে।”
বিজেপি সভাপতি সর্বানন্দ সোনোয়ালের মতে, ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনে রাজ্যের বিকাশ হয়নি। তাই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বিজেপি অসমের ভূমি, ভূমিপুত্র ও সংস্কৃতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। রাভা, টিওয়া সংগঠনগুলিও কং-বিরোধী জোটকেই সমর্থন দিয়েছে।
সোনায়ালের অভিযোগ, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই এত দিন ধরে জিতেছিল কংগ্রেস।
এ দিকে, আগের কট্টর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন অগপ সভাপতি অতুল বরাও। ভূমিপুত্রদের স্বার্থরক্ষা ও অসম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণের কথা বললেও বরা জানান, হিন্দু বাংলাদেশীদের বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বের করা হবে।
হাগ্রামা বলেন, “দু দফায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকারের শরিক হলেও বড়োভূমিতে কংগ্রেস প্রয়োজনমতো উন্নয়ন করেনি, আমাদেরও করতে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের উন্নয়ন ও বড়ো চুক্তি সম্পূর্ণ রূপায়ণের আশ্বাস দিয়েছেন।”
অবশ্য বিরোধী জোটের নেতারা ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করলেও গগৈ আজ বলেন, “অগপ, বিপিএফ ভোটের ফল বেরোলেই শিবির বদল করতে পারে। ওরা ক্ষমতা চায়। তাই বিপিএফ আগে কংগ্রেসের হাত ধরেছিল আর অগপ প্রথমে জোট গড়তে চেয়ে কংগ্রেসের কাছে এসেছিল।”