Haryana Youth Killed

‘ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’! অবৈধ ভাবে আমেরিকায় ঢুকতে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে, খুন হরিয়ানার যুবক

পরিবার সূত্রে খবর, গত বছরের ১৩ অক্টোবর আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হন যুবরাজ। এক এজেন্টের মাধ্যমে আমেরিকায় কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, এজেন্টের সঙ্গে ৪১ লক্ষ টাকায় রফা হয় যুবরাজের আমেরিকা-যাত্রা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৫
Share:

গুয়াতেমালায় পাচারকারীদের হাতে খুন হরিয়ানার যুবক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে গিয়ে মাদক পাচারকারীদের হাতে খুন হলেন হরিয়ানার এক যুবক। মৃতের নাম যুবরাজ। হরিয়ানার কৈথল জেলার পুন্দ্রি শহরের মোহনা গ্রামের বাসিন্দা। গুয়াতেমালা হয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করার আগেই মাদক পাচারকারীদের হাতে অপহৃত হন যুবরাজ। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি পরিবারের। সম্প্রতি পরিবারের কাছে যুবরাজের মৃত্যুর শংসাপত্র এসেছে।

Advertisement

পরিবার সূত্রে খবর, গত বছরের ১৩ অক্টোবর আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হন যুবরাজ। এক এজেন্টের মাধ্যমে আমেরিকায় কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, এজেন্টের সঙ্গে ৪১ লক্ষ টাকায় রফা হয় যুবরাজের আমেরিকা-যাত্রা। অগ্রমি হিসাবে এজেন্টকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। যুবরাজ আমেরিকায় পৌঁছোলে এজেন্টকে বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর পরিবারের। যুবরাজের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ২৫ লক্ষ টাকা এজেন্টকে দেওয়ার পর যুবরাজের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

কয়েক মাস পরে পরিবারের কাছে একটি ভিডিয়ো আসে। পরিবারের দাবি, সেই ভিডিয়োতে অত্যন্ত আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল যুবরাজকে। তাঁর সঙ্গে পঞ্জাবেরও এক যুবক ছিলেন। তাঁদের দু’জনে হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। দু’জনকে মারধর করছিলেন কয়েক জন। তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যুবরাজ এবং পঞ্জাবি যুবকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। কিছু দিন পরে আরও একটি ভিডিয়ো আসে পরিবারের কাছে। যুবরাজের বাবা কুলদীপ জানিয়েছেন, সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তাঁদের পুত্র কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘‘বাবা, ওরা আমাদের বন্দি করে রেখেছে। মারধর করছে। আমাদের মেরে ফেলবে। তাড়াতাড়ি টাকা পাঠাও।’’ তার পরই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়। সেই ভিডিয়ো পাওয়ার পরই কৈথলের পুলিশ সুপাররে সঙ্গে দেখা করে যুবককে ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করে পরিবার। যুবরাজের কাকা জানান, ওই ভিডিয়ো পাওয়ার পর থেকে যুবরাজের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নানা রকম ভাবে চেষ্টা করা হয়। শেষে এক পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। পল নামে নেপালি পাচারকারী তাঁদের বলেন, যুবরাজকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাঁর দাবির সাপেক্ষে প্রমাণ চাইলে, পাল্টা টাকা দাবি করে ওই পাচারকারী। যুবরাজের কাকা বলেন, ‘‘দেড় হাজার মার্কিন ডলার ওই পাচারকারীর অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। তার পর পাচারকারী যুররাজের মরদেহের ছবি এবং মৃত্যুর শংসাপত্রের ছবি পাঠায়।’’ গত সপ্তাহেই সেই ছবি তাঁদের হাতে এসেছে বলে য়ুবরাজের কাকা জানিয়েছেন। এজেন্টদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে যুবরাজের পরিবার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement